মলয় দে, নদীয়া:- নদীয়া জেলার শান্তিপুর শহরের কলুপাড়া সংলগ্ন ভগবাতী দাস রোডের একটি ব্যাংকে প্রচন্ড ভিড় হতে দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের পর থেকে নিয়মিত। পাড়ার মধ্যে সকালবেলা থেকেই লাইন নিয়ে কলহ লেগেই থাকে প্রায়ই। আজ পাড়ার ছেলেরা মিলে ভোর পাঁচটা থেকে কুপন নিয়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থায় মিলেছে খানিকটা সুরাহা। বাকিটা ঠিক করতে মোটরসাইকেলে চেপে যমরাজকে দেখা গেল এই কাজে সহযোগিতা করতে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ‘বহুরূপী জীবন্ত মডেল’ নামক একটি সংস্থা এর আগেও দু-একবার সচেতনতামূলক প্রচার করতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছেন অতিউৎসাহী আয়োজকদের ভিড়ে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সাংবাদিকদের চোখ এড়ানোর জন্য গোপনীয়তার সাথে এ ধরনের একটি প্রদর্শনী হয়েছে মালঞ্চ, নতুনহাট এবং কাশ্যপাড়ায়। অবশেষে যমরাজ বাড়ি ফেরার সময় মোটরসাইকেলে চেপে সম্পূর্ণ মানবিক কারণেই ব্যাংকের ভিড় ঠিক করতে লাইন অনুযায়ী দাঁড়করানোর তৎপরতা দেখান যা ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়।
প্রশ্ন থেকেই যায় সংবাদমাধ্যম সচেতনতা মেনে ভালো বিষয়ের সাথে ভিড়ের বিষয়টি আলোকপাত করলে কি তথ্য গোপন করা হবে তাদের কাছে? আপনারা দর্শক, লকডাউনে গৃহবন্দি হয়ে নিউজ মিডিয়ার মাধ্যমে দেখার বা সত্য তথ্য জানার অধিকারও কি হারাতে বসেছেন? ভিড় এড়ানোর জন্য! সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে আগাম পরিকল্পনা না জানালেও, সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলেও কি জানতে পারবেন না? প্রশ্ন থাকলো আপনাদের কাছে।