গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, পূর্ব বর্ধমানঃ সাংবাদিকরাও মানুষ। বলতে গেলে, মানুষের পেট থেকে হাঁড়ির খবর রাখেন তাঁরা। পেশাগত তাগিদেই রাখতে হয়। কিন্তু এই চেনা বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে কেউ কেউ গরীব, দু:স্থ, অসহায় মানুষের কথাও ভাবেন। এইরকম এক সাংবাদিক পূর্ব বর্ধমানের রাহুল রায়। বয়সে নবীন হলেও এই বয়সেই তাঁর মানবিক মুখ এলাকার মানুষের কাছে এক উদাহরণ। তিনি সবার কাছে প্রমাণ করে দিলেন, সাংবাদিকরা শুধু সংবাদ সংগ্রহ বা সংবাদ পরিবেশনই করেন না, তাঁদের সামাজিক দায়বদ্ধতাও থাকে। সামাজিক কাজ করতে তাঁরা পিছপা হন না।
আজই পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২নং ব্লকের নন্দীগ্রামের সাংবাদিক রাহুল রায় সেরকমই একটি সামাজিক কাজ করলেন। আগামীকাল বড়দিন। সবার ভাগ্যে জুটবে না বড়দিনের কেক। কিন্তু খিদে আর ইচ্ছে তো সমাজের গরীব মানুষদেরও থাকে। আর সেকথা ভেবেই আজ বর্ধমান স্টেশনে দুঃস্থ ১০০ জন মানুষ ও শিশুদের হাতে আগাম বড়দিনের কেক তুলে দিলেন তিনি। কেক পেয়ে স্বভাবতই খুশি তারা।
রাহুলবাবুর এই উদ্যোগকে সাধারণ মানুষেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে রাহুলবাবু জানিয়েছেন, ছোটবেলায় পড়েছি, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। দু:স্থ মানুষদের যেমন দু:খ আছে, তেমনি এই সমাজের কাছ থেকে তাদের কিছু প্রত্যাশাও আছে। আর মানুষ হয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মধ্যে আছে যে অপার আনন্দ, আমি সেই আনন্দটুকু চেটে-পুতে নিতে চাই। তাই আজ সাধ্যমতো স্টেশনের ভবঘুরে মানুষগুলোকে বড়দিনের কিছুটা স্বাদ দিতে চেষ্টা করলাম। বাস্তবিকই সমাজে সংখ্যায় অল্প হলেও রাহুল রায়ের মতো সাংবাদিকদের জন্যই আজও সমাজের ব্রাত্য জনেরা দেখতে পান বড়দিনের খিদে মেটানোর নতুন সকাল।