অনেক তোড়জোড় করে শুরু করা হলেও এবারের বিজেপি রাজ্য কমিটির বৈঠক। এই বৈঠক থেকে বিজেপি নেতারা জানতে চাইছিলেন যে ঠিক কোথায় কোথায় ভুল হলো এবং কি কারণে এবারের নির্বাচনে এতটা খারাপ ফল করেছিল বিজেপি। যেখানে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতারা বারংবার বলে আসছিলেন ২০০ এর বেশি আসন পাবে বিজেপি, সেখানে মাত্র ৭৭, ব্যাপারটা কারোরই হজম হচ্ছিল না। বিজেপিতে এখন চলেছে দোষারোপ এবং পাল্টা দোষারোপের পালা। অনেকে বলছেন মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয় তৃণমূলের হয়ে খেলেছেন, আবার অনেকের বক্তব্য ঠিক করে লড়াই হয়নি এবারে।
তো যাইহোক এবারের নির্বাচনের থেকে যাওয়া খাঁটি খুঁজে বের করতে বিজেপি রাজ্য কমিটির বৈঠক। উপস্থিত অমিত মালোব্য, দিলীপ ঘোষ, অরবিন্দ মেনন, শুভেন্দু অধিকারী, তথাগত রায় সহ আরো অনেকে। কিন্তু খুবই তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুপস্থিত কৈলাস এবং রাজীব। আগে থেকেই রাজিবকে এই বৈঠকের ব্যাপারে জানানো হয়েছে। এবং তিনি নিজেও আসবেন বলেই জানিয়েছিলেন, কিন্তু এখনো পাওয়া খবর অনুযায়ী, সাধারণ ভাবে তো বাদ দিন, অনলাইনে ভার্চুয়াল ভাবেও যুক্ত নন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কৈলাসের এখনো কোনো খবর নেই।
এই বৈঠক থেকেই বিজেপি আগামী দিনের কর্মসূচি স্থির করতে চলেছে। একুশের নির্বাচনে পরাজয়ের পরে এটাই বিজেপির সর্বপ্রথম মিটিং। আর এই মিটিং এই নেই বিজেপির কেন্দ্রীয় রাজ্য পর্যবেক্ষক আর এবারের নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম বড়ো মুখ হিসাবে উঠে আসা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি হয়ত শুভেন্দু মিটিংয়ে আছেন বলে আসেননি, এটাও অনেকেই বলছেন। আবার অনেকের ধারনা তৃণমূলের সঙ্গে রফা করা হয়েছে তাই আর বিজেপির দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু সবথেকে বড়ো সন্দেহজনক ব্যাপার হলো কৈলাস বিজয়বর্গীয় এর অনুপস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন কিভাবে যোগ দেবে ওর জন্যই তো এই হাল হয়েছে। আবার অনেকে এই বিষয়টিকে এতটা হালকা ভাবে নিতে চাইছেন না। শুধুমাত্র কি দলের ভিতরে বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়ে যোগ দিতে চাইলেন না কৈলাস বিজয়বর্গীয়? নাকি অন্য কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ এর সম্ভাবনা রয়েছে? উত্তরটা দেবে সময়।