আসন্ন বিধানসভা ভোট। তবে বিধানসভা ভোটের আগেই কি গেরুয়া শিবিরে হতে চলেছে ভাঙন? নোয়াপাড়া এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠেছে জল্পনার ঝড়। মুখে কিছু না বলা হলেও এই বিষয়টি রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপিকে তাই রাতারাতি দুই বিধায়কের সাথে রুদ্ধদার বৈঠকে বসলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) এবং বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়রা (Mukul Roy)। তবে বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে , সেই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি বিধায়করা। এই দিকে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, দলের সাথে কথা বলেই নাকি ওই দুইজন বিধায়ক তৃণমূল সুপ্রিমোর সাথে কথা বলেন।
সোমবার ছিল বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন। সেই দিন শুরুতেই দেখা গেল সৌজন্যের ছবি। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। সূত্রের খবর, মমতা নাকি তাঁকে কোনও বিষয়ে ভাবনাচিন্তার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তবে কোন বিষয়ে ভাবনার কথা বলেন, তা স্পষ্ট নয়। বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ফের চমক। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যেতে দেখা যায় নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্ব। সেখানে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mallick) এবং পার্থ ভৌমিকেরা। যদিও এক সাথে বৈঠকে থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেন জ্যোতিপ্রিয়।
প্রায় ২০ মিনিট তৃণমূল সুপ্রিমোর সাথে কথা বলেন দুই জন বিজেপির বিধায়ক। যদিও তাদের পক্ষ থেকে দাবি কড়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বিধানসভা এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের কথাই হয়েছে কেবল। আর কিছুদিনের মধ্যে বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে। লাগু করা হবে নির্বাচনী বিধি। সেক্ষেত্রে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে উন্নয়ন কার্যত অসম্ভব। তাই কেন এখন উন্নয়ন নিয়ে কথা বললেন দুই বিধায়ক, উঠছে সেই প্রশ্ন। এই সাক্ষাৎ নিয়ে আপাতত রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর গুঞ্জন। একসময় দু’জনেই তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। কয়েকদিন আগে দলবদল করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় সুনীল এবং বিশ্বজিতেরা। তবে কি ভোটের আগে ফের ঘাসফুল শিবিরেই ফিরছেন তাঁরা, সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে।