নদীয়া : কল্যাণীর নির্মলা ফাউন্ডেশনের অধীনস্থ, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট এন্ড এ্যালাইড হেলথ সাইন্স এবং. IINR এরপর ISER এর পথ চলা শুরু হয়েছে মাত্র কয়েক মাস। এরই মধ্যে এই বিভাগে 18 জন বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়াশোনা তৎসহ ছবি আঁকা, গান, নাচ এবং বিভিন্ন থেরাপি পরিষেবা দিয়ে আসছেন।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অটিস্টিক বাচ্চাদের কথা ভেবেই মূলত শুরু হয় এ ধরনের পদক্ষেপ। এখনো আবাসিক না হলেও পরবর্তীতে শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়, স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মমুখী প্রকল্পের আয়োজন করতে চান তারা। NIOH এর সাথে সমন্বয় রেখে ছেলে-মেয়েদের মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এর মত পরীক্ষায় বসানোর উদ্যোগ নেন কর্তৃপক্ষ। আজ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ অলিম্পিকের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ISER কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল চৈতালি নাগ চৌধুরী জানান “অলিম্পিকে ভারত, এমনকি পশ্চিমবঙ্গ থেকেও প্রতিবছর বিশেষভাবে সক্ষম ছেলেমেয়েরা পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বর্ণ-রৌপ্য- ব্রোঞ্জ পদক জয় লাভ করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেও দুর্ভাগ্যক্রমে তাদের নামটুকু পর্যন্ত আমরা জানিনা।”
আরও পড়ুন : রাজ্যে ঢুকছে উত্তরের হাওয়া, এক ধাক্কায় অনেকটাই নামল পারদ
কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মলয় কুমার ঘোষ “জানান একই ছাদের তলায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের বাল্যকাল থেকে বৃদ্ধ কাল পর্যন্ত সমস্ত রকম শিক্ষা, জীবিকা, প্রতিভার বিকাশ ঘটানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।ম্যানেজিং ডিরেক্টর “শিলা সিংহ ঘোষ জানান বেশিরভাগ বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চাদের দুটো তিনটে দিকে কম থাকলেও, অন্য বিষয়গুলোতে তাদের সক্ষমতা অন্য আর সাধারন পাঁচটা বাচ্চার মতনই বা কোন অংশে বেশি, সঠিক কাউন্সেলিং এর জন্য তাদের ভবিষ্যৎ চার দেয়ালের ঘরের মধ্যেই কাটে।”
বিশেষ অলিম্পিকের জন্য আমন্ত্রিত সৌগত দে ,ললিতা নাগ ,তমাল চ্যাটার্জি, পার্থ বিশ্বাস, সৈকত দেব সহ বিভিন্ন অভিজ্ঞদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ অলিম্পিক। যার মধ্যে প্যারা অলিম্পিক ফেডারেশন নিয়ন্ত্রিত নয়, বাকি স্পেশাল অলিম্পিক ইন্টেলেকচুয়াল, এবং ডিফ এন্ড ডাম্ব অলিম্পিক আয়োজিত হয় সারা পৃথিবী ব্যাপী।স্টেট গেম ডিসট্রিক গেম ন্যাশনাল গেমস ইন্টার্নেশনাল গেমস অবশেষে অলিম্পিক এভাবেই সুসজ্জিত বিশেষভাবে সক্ষম দেড় অলিম্পিক।
ওয়ার্ল্ড সামার গেমস এবং ওয়ার্ল্ড উইথ গেমস এই দু ধরনের অলিম্পিক এর মধ্যে সর্বশেষ 2019 সালে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম টি। দ্বিতীয় টি অস্ট্রিয়ায় 2017 সালে। ফ্লোর বল, ভলিবল, সাঁতার, হর্স রাইডিং, তীরন্দাজ, তাই সাইকেল রেস সহ প্রায় 22 টি বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় কৃতিত্বের সাথে। যার মধ্যে গত 2019 এ আবুধাবি থেকে 86 টি সোনা 129 টি রুপা এবং 139 ব্রোঞ্জ নিয়ে আসে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা। যার মধ্যে বাংলা থেকে একটি সোনা একটি রুপো এবং তিনটি ব্রোঞ্জ পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বেশ খানিকটা অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও করা হয় এ ধরনের পুরস্কার প্রাপক কে। কিন্তু এ ধরনের বার্তা বিভিন্ন জেলা ব্লকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি উদাসীনতা চোখে পড়ে , তাই ISER এর মত বেশকিছু বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগ অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়।”