কঙ্গনা রানাওয়াত মানেই একরাশ বিতর্ক। কখনও বলিউডের মাদকযোগ, কখনও অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য, কখনও নিজের অতীতের যৌন নির্যাতন সব কিছুতেই কঙ্গনা খোলাখুলি বক্তব্য রাখেন। এই কারণে গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে চলা নেটিজেনরা তাঁকে কটাক্ষ করেন। কোনো কথায় কান না দিয়ে এবার কঙ্গনা নিজের একটি বোল্ড ছবি ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করলেন। ছবিটি কঙ্গনার মেক্সিকো ভ্যাকেশনের। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মেক্সিকোর একটি ছোট্ট দ্বীপ টুলুম-এর সি-বিচে বিকিনি পরে বসে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন কঙ্গনা। ছবিটি কঙ্গনার ব্যাকসাইড থেকে তোলা হয়েছে। ফলে তাঁর পিঠের বিকিনির ফিতে ও পিঠের উপর ফেলে রাখা একরাশ কোঁকড়ানো চুল কঙ্গনার আবেদনকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
কিছুদিন আগে নিজের বোনপোকে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কঙ্গনা। সম্প্রতি কঙ্গনার ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে কঙ্গনা নিজের মানালির বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু তার পরের দিন শুটিং থাকায় কঙ্গনাকে মুম্বই ফিরে আসতে হয়। অন্যান্য পরিবারের মাসিদের মত কঙ্গনাও নিজের বোনপো-র প্রিয় মাসি। কঙ্গনা বোনপো-কে নিজের সন্তান বলেই মনে করেন। এর আগেও বহু সাক্ষাৎকারে তাঁকে এই কথা বলতে শোনা গেছে। ভাইয়ের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর কঙ্গনা যখন এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন অন্যান্য বোনপো-দের মতো কঙ্গনার বোনপোও কঙ্গনাকে আসতে দিতে চাইছিল না। তখন কঙ্গনাকে তাকে বোঝান যে, তাঁর কাজ আছে। তখন সে কঙ্গনাকে বলে, চলে যাবার আগে তাকে কোলে নিয়ে দুই মিনিট বসে থাকতে। কঙ্গনা তাকে কোলে নিয়ে চুম্বন করেন। এই দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী হয়ে যায়। কঙ্গনা এই ফটোটি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে বলেন, বোনপো-র কথা মনে করে এখনও তাঁর কষ্ট হচ্ছে।
কঙ্গনার পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনরা তাঁকে নিয়ে রীতিমত বিতর্ক সৃষ্টি করেন। তাঁরা বলতে শুরু করেন কঙ্গনা একটি শিশুর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে ঠোঁটে চুমু খেয়ে তার শ্লীলতাহানি করেছেন। কেউ বলেন, কঙ্গনা বিকৃত মনোভাবসম্পন্ন মহিলা। কঙ্গনা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
নেটিজেনদের একাংশ প্রায়ই কঙ্গনার অন্ধকার অতীত নিয়ে তাঁকে রীতিমত ট্রোল করেন। নেটিজেনদের একাংশ-এর জ্ঞাতার্থে জানানো দরকার কঙ্গনাকে অন্ধকারে ডুবতে হয়েছিল তাঁর বোন রঙ্গোলিকে সুস্থ করে তোলার জন্য। রঙ্গোলি হিমাচল প্রদেশের প্রথম মহিলা যাঁর উপর অ্যাসিড অ্যাটাক হয়। অ্যাসিডে রঙ্গোলির চেহারা সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সময় অনেকগুলি সার্জারি করাতে হয় রঙ্গোলিকে। কিন্তু কঙ্গনার পরিবারের সামর্থ্য ছিল না রঙ্গোলির সার্জারির খরচ বহন করার। কঙ্গনা একাই রঙ্গোলির সার্জারির খরচ বহন করার জন্য যেন তেন প্রকারেণ বলিউডে কাজ যোগাড় করেছিলেন। কঙ্গনার প্রচেষ্টাতেই রঙ্গোলি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে তাঁর মুখের কিছু অংশে এখনও রয়ে গিয়েছে অ্যাসিডের ক্ষত।