বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়লাভের পর একের পর এক বিস্ফোরণ টুইট করে সোশ্যাল মিডিয়ার একেবারে লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন ঘোষিত বিজেপি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। সম্প্রতি তিনি অভিনয় করছেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকে র সভানেত্রী জয়রাম জয়ললিতার বায়োপিকে একেবারে নাম চরিত্রে। এখানে কঙ্গনা রানাওয়াত এদিন সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে একেবারে রাবণের সঙ্গে তুলনা করে বসলেন।
আর তুলনা করে বসা মাত্রই টুইটার থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হল কঙ্গনা রানাউতের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট। উস্কানি মূলক মন্তব্যের জেরে আজীবনের মত কঙ্গনা টুইটার একাউন্ট সাসপেন্ড করে দিয়েছে টুইটার। কিন্তু তার পরেও দমে যাননি এই বিজেপি সমর্থক অভিনেত্রী।
স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তার কাছে বহু প্ল্যাটফর্ম মজুত রয়েছে এবং তাকে নির্বাচিত করে টুইটার প্রমাণ করে দিয়েছে তাদের নিজস্ব অবস্থান। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে তিনি বললেন, “বন্ধুরা আমরা দেখছি বাংলা থেকে লাগাতার ভিডিও এবং ছবি উঠে আসছে যেখানে দেখা যাচ্ছে হিংসা নিদর্শন। মানুষের ঘরবাড়ি জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোন লিবারাল মুখ খুলছে না। আমি বুঝতে পারছি না আমাদের দেশে কি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে আমাদের মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলি। হিন্দুদের রক্তে কি কোন মূল্য নেই?”
বিতর্ক এখানেই থামেনি, টুইটার কে উদ্দেশ্য করে কঙ্গনা রানাওয়াত বললেন, “টুইটার প্রমাণ করে দিয়েছে আমার দৃষ্টিকোণ, ওরা আমেরিকান এবং জন্মগতভাবে শ্বেতাঙ্গরা বিশ্বাস করে বাদামি মানুষেরা ওদের দাস। তোমরা কি ভাববে না ভাববে সেটা ওরা নিয়ন্ত্রণ করবে। তোমরা কি করবে না করবে সবকিছুর উপরে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে শ্বেতাঙ্গরা। কিন্তু আমার নিজের বাক স্বাধীনতা রয়েছে এবং সৌভাগ্যবশত আমি অন্য মাধ্যমে প্রয়োগ করে আমার নিজের কথা বলে যাব। তবে আমার মন কাঁদছে আমার দেশে সেইসব মানুষের কথা ভেবে যারা বছরের পর বছর নির্যাতিত হয়ে আসছেন এবং অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন।’