শ্রেয়া চ্যাটার্জি – লকডাউন না মানলে এলাকার নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। এমনই শাস্তি ধার্য করল কর্ণাটক পুলিশ। এককথায় অভিনব শাস্তি। একদিকে পরিবেশও খানিকটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হবে, আর শাস্তি টাও নেহাত কম নয়। পাঁকের মধ্যে নেমে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা,নিঃসন্দেহে যথেষ্ট কষ্টকর। মান্দ্যা জেলার দেবিরাম্মানী লেকটি এই ভাবেই পরিষ্কার করানোর ব্যবস্থা করা হলো।
অনেক জায়গাতেই যারা লকডাউন ভাঙছেন, আসলে এই লকডাউনকে অনেকেই ছুটির মেজাজে গ্রহণ করেছেন। তাদের বাড়িতে থাকতে একদমই ভালো লাগছেনা, ভাবছেন এটা কোন রবিবারের ছুটির দিন চলছে। তাই দুপুরবেলায় খাওয়া দাওয়ার পরে একটু বিকাল হলে বেরিয়ে আসতে চাইছেন, অথবা ফাঁকা রাস্তায় বাইক নিয়ে লং ড্রাইভ। অসচেতনতার এমন দিক প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। পুলিশকর্তারা অনেকবার ভালো করে বোঝানোর পরেও কোনভাবেই কাজ হচ্ছে না।
সাধারণ মানুষ বুঝতে চাইছেন না এই পুলিশরাও মানুষ, তারাও রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের কর্তব্য পালন করে চলেছেন। তাদের একটাই বক্তব্য অকারণে বাইরে বেরোবেন না। অনেক মানুষ এতটাই অসচেতন যে তাদের এইটুকু কথা শুনতে পারছেন না। কখনো রাগের মাথায় তারাও হয়তো লাঠির বাড়ি মেরে দিচ্ছেন। অনেক সময় দোষের ভাগিদারও হচ্ছেন। কিন্তু প্রত্যেককে বুঝতে হবে, আমাদের ভালোর জন্যই বলা হচ্ছে বাড়িতে থাকতে। লকডাউন না মানলে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালির কি অবস্থা হয়েছে তা প্রত্যেকেরই জানা। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কর্নাটক পুলিশের এহেন শাস্তি বেশ প্রশংসনীয়।