বর্তমান সময়ে গোটা দেশে সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজের নামে বিক্রি হচ্ছে যৌন উস্কানিমূলক চলচ্চিত্র। বারংবার বিতর্কের লাইমলাইটে আসছে বিভিন্ন ‘এ’ রেটেড সিনেমা। তবে সম্প্রতি গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে পরিচালক মহেশ মঞ্জরেকরের এটি মারাঠি ছবি নিয়ে। ওই ছবিতে শিশুশিল্পীদের সাথে আপত্তিকর দৃশ্য এবং খোলাখুলি যৌনতা দর্শকদের একদমই পছন্দ হয়নি। তাই খোদ মহিলা কমিশন, “নায় ভরণ ভাট লোঞ্জা কোন নায় কোঞ্জা” সিনেমাটির বিভিন্ন দৃশ্য নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে।
আসলে কিছুদিন আগেই “নায় ভরণ ভাট লোঞ্জা কোন নায় কোঞ্জা” সিনেমাটির ট্রেলার রিলিজ করে। সেই সংক্ষিপ্ত ট্রেলারে দেখা যায় অভিনেত্রী কাশ্মীরা শাহর সঙ্গে এক শিশুশিল্পী যৌনতায় লিপ্ত হয়েছে। সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন যৌন উস্কানিমূলক সংলাপ। এই দৃশ্য দেখেই বেজায় চটেছেন নেটিজেনদের একাংশ। এমনকি মহারাষ্ট্রের ভারতীয় স্ত্রী শক্তি সংগঠনের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে জাতীয় মহিলা কমিশনকে অভিযোগ জানায়। বর্তমানে জাতীয় মহিলা কমিশনের নির্দেশে ছবি থেকে একাধিক যৌনদৃশ্য এবং আপত্তিজনক সংলাপ বাদ দেওয়া হয়েছে। এই সিনেমার ব্যাপক নিন্দা করেছেন মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেখা শর্মা।
ট্রেলারের একাংশে দেখানো হয় অভিনেত্রী কাশ্মীরা অনাবৃত বুকে টেনে নিচ্ছে এক শিশুকে। সেইসাথে চলছে যৌনতায় ভরা কিছু উত্তেজক সংলাপ। এই ছবিটিকে গত সপ্তাহে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিলম সার্টিফিকেট এ অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য শংসাপত্র দিয়ে ছাড়পত্র দিলেও বর্তমানে বোর্ডের কার্যকারিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, জাতীয় মহিলা কমিশনের ক্ষোভ প্রকাশের পর সিনেমা থেকে একাধিক দৃশ্য কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মহিলা কমিশনের মতে, এই সিনেমা ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে কলুষিত করছে এবং সমাজের কাছে ভুল বার্তা পরিবেশন করছে। বিশেষত শিশুদের উপর এই সিনেমা কুপ্রভাব ফেলবে। চেয়ার পার্সন রেখা শর্মা বলেছেন, “নেট মাধ্যমে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়ে যৌনতাপূর্ণ বিষয়বস্তু প্রকাশ অপরাধের সমান।” তবে এখনও অব্দি বিতর্ক সম্বন্ধে মুখ খুলতে দেখা যায়নি সিনেমার কলাকুশলী এবং পরিচালককে।