গতমাসের শেষের দিকেই মুক্তি পেয়েছে এস এস রাজামৌলি পরিচালিত ‘আর আর আর’। এই ছবি মুক্তির আগে থেকেই রেকর্ড ভাঙতে শুরু করেছিল বক্সঅফিসে। এই ছবির হাত ধরেই রাজামৌলি নিজের পরিচালিত আরো এক ছবি ‘বাহুবলি ২’এর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এবার মুক্তির আগেই ‘আর আর আর’এর রেকর্ড ভাঙলো প্রশান্ত নীল পরিচালিত ও যশ অভিনীত ‘কেজিএফ ২’। মুক্তির আগেই বক্সঅফিসে ২০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই ছবি। বর্তমানে যে ছবি ৫০০ কোটির গণ্ডি ছুঁতে চলেছে।
এই মুহূর্তে ১০ হাজার স্ক্রিনে হাউসফুল চলছে এই ছবি। দর্শকরা দিনে দিনে রমরমিয়ে বাড়ছে এই ছবির ব্যবসা। এই মুহূর্তে গোটা ভারত ব্যাপী এই ছবির আয় ৪৭৪ কোটি। পরিচালকসহ ছবির সমস্ত কলাকুশলীরা আশা করছেন খুব শীঘ্রই ‘কেজিএফ চ্যাপটার ২’ ৫০০ কোটি ছোঁবে। একদিনে এই ছবির গোটা বিশ্বব্যাপী আয় ছিল ১৬৫ কোটি, যার মধ্যে থেকে ১৩৪ কোটি টাকা ভারত থেকে আয় হয়েছে। সকলেই প্রায় প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখছেন এই ছবি।
১৪’ই এপ্রিল বড়পর্দায় মুক্তি পেল প্রশান্ত নীল পরিচালিত দক্ষিণী অভিনেতা যশ অভিনীত ‘কেজিএফ চ্যাপটার ২’। এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছবি মুক্তি পেতেই রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে দর্শকরা। অনেকদিন আগে থেকেই এই ছবি নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে গিয়েছিল অভিনেতার ভক্তদের মাঝে। তবে সম্প্রতি বক্সঅফিসে এই ছবির জনপ্রিয়তা দেখে মহারাষ্ট্রের মুম্বাই ও পুনেতে প্রেক্ষাগৃহের টিকিটের দাম বাড়ানো হয়েছে। দেড় হাজারটা ২০০০ পর্যন্ত করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম রয়েছে ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’এর চর্চায়। প্রথমদিন থেকেই প্রতিক্রিয়া আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত সবটাই ইতিবাচক, তা সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় চোখ রাখলেই স্পষ্ট হবে। প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন চিত্র সমালোচকদের পাশাপাশি অভিনেতার অগণিত ভক্তরাও। এমনকি অভিনেতাও এই সকল ভালোবাসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদও জানিয়েছেন তার ভক্তদের।
উল্লেখ্য, এই ছবিতে যশ ছাড়াও দেখা মিলেছে সঞ্জয় দত্ত, প্রকাশ রাজ, রবীনা ট্যান্ডন, শ্রীনিধি শেট্টি, রামচন্দ্র রাজু, রাও রমেশ ছাড়াও রয়েছেন একাধিক বড় বড় তারকাদের।
উল্লেখ্য, থালাপতি বিজয় অভিনীত ‘বিস্ট’ মুক্তি পেয়েছে একইসাথে। এই ছবি কেজিএফের বাজার কিছুটা হলেও কেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। কেজিএফ মুক্তি পাওয়ার পরেই শাহিদ কাপুর অভিনীত ‘জার্সি’র মুক্তির দিন পিছিয়ে গিয়েছে। ২২’শে এপ্রিল মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।
দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখন প্রায়ই টেক্কা দিচ্ছে বলিউডের পাশাপাশি হলিউডকেও, যা রীতিমত চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বহু পরিচালকদের কপালে। অনেকেই এখন ঝুঁকছেন দক্ষিণী তারকাদের দিকে। বলিউডের একাধিক তারকাকে এখন প্রায়ই দেখা যাচ্ছে দক্ষিণী ছবিতে। দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখন যে সব দিক দিয়েই বলিউডের থেকে এগিয়ে রয়েছে, তা আর আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখছে না।