মুম্বইয়ের এক ক্যাফের বাইরে আচমকাই ক্যামেরার ফ্ল্যাশে ধরা পড়লেন বলিউড অভিনেত্রী খুশি মুখার্জি। আর তাতেই ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। খোলামেলা পোশাক নিয়ে আগেও চর্চায় এসেছিলেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খুশি মুখার্জি একটি কালো টি-শার্টের মতো পোশাক পরে গাড়ি থেকে নামছেন। পোশাকটি পাশ থেকে কাটা ছিল। আচমকা হাওয়া লাগায় তা উড়ে যেতে থাকে, আর সেই মুহূর্তে নিজের হাত দিয়ে শরীর ঢাকার চেষ্টা করেন অভিনেত্রী। সেই দৃশ্যেই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে নেটদুনিয়ায়।
নেটিজেনদের একাংশ এই পোশাকের তীব্র সমালোচনা করেছেন। কেউ লিখেছেন, “যদি দেখানোর জন্যই এমন পোশাক পরা হয়, তবে লুকনোর প্রয়োজন কী?” অন্য এক জনের মন্তব্য, “পাবলিক প্লেসে এভাবে পোশাক পরে বেরনোর কী দরকার?” আরও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রীর পোশাক শৈলী ও সামাজিক দায়িত্ব নিয়ে।
এই বিতর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টেলিভিশন অভিনেত্রী ফালাক নাজ। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লেখেন, “রাস্তায় যদি কেউ কুকুরকে খাবার দেয়, তখন সকলে চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু কেউ যদি এমন পোশাকে ঘোরে, তখন কিছু বলা হয় না। বরং মিডিয়া তাঁদের কভার করে। এই ধরনের বিষয় যারা তুলে ধরে, তাঁদের জরিমানা করা উচিত।”
উল্লেখযোগ্য, খুশি ও ফালাকের মধ্যে আগেও মনোমালিন্য ছিল। কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে খুশি ফালাককে ‘বেকার’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার পাল্টা হিসেবে ফালাক বলেছিলেন, “আমি অন্তত রাস্তায় অর্ধনগ্ন হয়ে ঘুরি না।”
View this post on Instagram
সাধারণ পাঠকদের মনে যেসব প্রশ্ন উঠে আসতে পারে:
১. খুশি মুখার্জির পোশাক ঠিক কেমন ছিল?
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খুশি কালো রঙের পাশ থেকে কাটা টি-শার্ট জাতীয় পোশাক পরেছিলেন। পোশাকটি ঢিলেঢালা এবং হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছিল।
২. এই ঘটনায় খুশি মুখার্জির প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খুশি মুখার্জি এই বিতর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
৩. ফালাক নাজ কেন এই বিষয়ে মন্তব্য করলেন?
ফালাক অতীতে খুশির সঙ্গে ব্যক্তিগত বিবাদে জড়িয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই সম্ভবত এই তীব্র প্রতিক্রিয়া।
৪. সোশ্যাল মিডিয়ায় কী ধরনের মন্তব্য দেখা যাচ্ছে?
বেশিরভাগ নেটিজেনই পোশাককে ‘অশালীন’ আখ্যা দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার মিডিয়াকেও দায়ী করেছেন এমন বিষয় প্রচার করার জন্য।
৫. কি ধরনের আইন বা নীতিমালা রয়েছে পোশাক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে?
ভারতে পোশাক পরার বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই, তবে ‘পাবলিক ডেসেন্সি’ ও ‘অবসিনিটি’ আইনের আওতায় কিছু বিষয় বিচার হতে পারে। তবে তা বিচারব্যবস্থার সিদ্ধান্তসাপেক্ষ।
