দুবাই: প্রত্যেক বছরই স্টলওয়ার্ড ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজালেও অপরিণত পরিকল্পনার জন্য বারবার আইপিএলের লিগ টেবিলের ‘লাস্ট বয়’ হয়েই থাকতে হয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে। এবারেও তার অন্যথা হল না। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেও পাঞ্জাবের হারের ধারা একইভাবে অব্যাহত। ছটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে প্রীতি জিন্টার দল। আইপিএলের এতগুলো মরশুম হয়ে গেল, তবু কেউ এখনও ধরতে পারল না যে, পাঞ্জাবে এত ভাল ভাল ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও কিসের খামতি রয়েছে? বৃহস্পতিবার দুবাইয়ের মাটিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল কে এল রাহুলের দল। কিন্তু সেখানেও হারের ধারা একইভাবে বজায় রইল। 59 রানে হার স্বীকার করতে হল রাহুল এবং তাঁর ব্যাটেলিয়ানকে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যাট হাতে তিনি দলকে ভরসা যুগিয়েছেন। অর্ধশতরান পুরো করে ক্রিজে আরও কিছুক্ষণ টিকে থাকেন তিনি। কিন্তু তারপর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অপর ওপেনার জনি বেয়ারস্টো মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন। হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইনআপের সামনে পাঞ্জাবের বোলিং স্কিলকে খুবই অসহায় মনে হচ্ছিল।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। দলের দুই ওপেনার কে এল রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল যা পারফরম্যান্স দেখালেন, তা খুবই লজ্জাজনক। একমাত্র নিকোলাস পুরান দলের হয়ে বড় ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু তাঁর একার লড়াইয়ে শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে হায়দরাবাদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হল প্রীতির দলকে। ফলে লিগ টেবিলের একেবারে শেষ স্থানেই রয়ে গেল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।