Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

Cyclone Yaas: কোন দিন কোন অঞ্চলে কত গতিবেগে বইবে ঘূর্ণিঝড়ে ‘যশ’, জেনে নিন

Updated :  Monday, May 24, 2021 10:37 AM

করোনা পরিস্থিতির মাঝেই বঙ্গবাসীর মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে যশ ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বৃদ্ধি। গতকাল গভীর নিম্নচাপ থেকে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যশ। এখন এই ঘূর্ণিঝড় দীঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থান করছে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। এত দিন অব্দি এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ পরিবর্তনের সম্ভাবনা থাকলেও, এখন তা আর নেই। নির্দিষ্ট অভিমুখে ল্যান্ডফল হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড়ের। আগে থাকতেই সেই সমস্ত অঞ্চলকে সাবধান করেছে হাওয়া দপ্তর। আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন কোন অঞ্চলে কত গতিবেগে কবে ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়বে।

  • আজ অর্থাৎ ২৪ মে রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঝোড়ো বাতাস বইবে। এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হতে পারে।
  • আগামীকাল অর্থাৎ ২৫ মে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • ২৬ মে দুপুর থেকেই রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাতে ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে হাওয়া বইতে পারে। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাও হতে পারে। এছাড়া এদিন সকাল থেকেই নদীয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়াতে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়া সেদিন কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় যশ পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপ এর মধ্যে কোন এলাকায় আছড়ে পড়বে। এই ল্যান্ডফলের দিন হাওয়ার গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা অব্দি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য আগে থাকতেই প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। তারা নবান্নের পাশাপাশি প্রশাসনিক ভবন উপান্নতে কন্ট্রোল রুম তৈরি করেছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছেন। এছাড়া জেলায় জেলায় এনডিআরএফ টিম পৌঁছে গিয়েছে। একটি আপৎকালীন ফোন নাম্বার দেওয়া হয়েছে যা হল ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সাইক্লোন সেন্টার খোলা হয়েছে। নিচু জায়গার মানুষকে সেই সমস্ত জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সুন্দরবনবাসিরা মাতলা নদীর উপর বাঁধ মেরামতের কাজে নিজেরাই হাত লাগিয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনিক স্তরে ঝড় মোকাবিলার জন্য সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।