আমাদের দেশে নারীদের মন জয় করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পন্থা হল তাঁকে সোনার গহনা দেওয়া। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির বাজারে মহামূল্যবান হলুদ ধাতুর দাম যেই হারে বাড়ছে, তাতে এক মধ্যবিত্ত পুরুষের পক্ষে তাঁর প্রিয়তমার জন্য সোনার গহনা কিনে দেওয়া পকেটে ফুটো হওয়ার সমান। তবুও সকলেই টাকা জমিয়ে সোনা কিনে ভবিষ্যতের পথ সুগম করে। নবরাত্রি, অক্ষয় তৃতীয়া, ধনতেরাস, দীপাবলির মতো উৎসবগুলিতে সোনা কেনা দেশে শুভ বলে মনে করা হয়। এ সময় জুয়েলার্সের কাছে প্রচণ্ড ভিড় থাকে। এখন সোনার গহনা ছাড়াও গোল্ড ইটিএফ, সভারেন গোল্ড বন্ড, গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগও বাড়তে শুরু করেছে। এত কিছুর পরও মানুষের মধ্যে স্বর্ণালঙ্কার কেনার উন্মাদনা কমেনি।
তবে এখন প্রশ্ন হল কত সোনা ঘরে রাখতে পারবেন আপনি? আয়কর দপ্তর আপনাকে কত সোনা ঘরে রাখতে দেয়? মহিলারা ঘরে কত সোনার গয়না রাখতে পারেন জানেন কি? আপনাদের জানিয়ে রাখি, এর আগে ভারতে গোল্ড কন্ট্রোল অ্যাক্ট ১৯৬৮ প্রযোজ্য ছিল। এর অধীনে মানুষকে একটি সীমার বাইরে সোনা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যাইহোক, এই আইনটি ১৯৯০ সালের জুন মাসে বাতিল করা হয়েছিল। এরপর স্বর্ণ রাখার সীমা নিয়ে সরকার আর কোনো নিয়ম করেনি। একজন নারী বা ব্যক্তি তাদের কাছে কত সোনা রাখতে পারবেন তার কোনো আইনি সীমা নেই।
তবে ১৯৯৪ সালে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT) সোনার বিষয়ে কিছু নির্দেশ জারি করেছিল। যদি কোনও বিবাহিত মহিলার ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের সোনার গহনা পাওয়া যায়, তবে কর কর্তৃপক্ষ তা বাজেয়াপ্ত করবে না। অবিবাহিত মহিলার কাছে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত সোনার গয়না পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে না। বিবাহিত বা অবিবাহিত পুরুষের কাছে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হবে না। কত গ্রাম সোনা রাখা যাবে সেই নিয়ে কোনো নিয়ম না থাকলেও, আয়কর কত পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করবে নেই নিয়ম রয়েছে।