কোয়েল মল্লিক বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি টলিউডের প্রথম সারির সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। একজন ভালো অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন ভালো মাও। অভিনেত্রী তার অনুরাগীদের কাছে তাদের পাশের বাড়ির মেয়েটা। সর্বদা একেবারে সাধারণভাবে থাকাই তার মূল কারণ। নিজের ছেলের সাথে কাটানো মুহূর্ত হোক কিংবা বাড়ির পূজা-পার্বণের অনুষ্ঠান, সবকিছুর ঝলকই নিজের অনুরাগীদের সাথে ভাগ করে নেন অভিনেত্রী।
বর্তমানের অভিনেত্রী হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোই অ্যাক্টিভ কোয়েল মল্লিক। শুটিং ফ্লোর থেকে শুরু করে পারিবারিক মুহূর্ত সবটাই ভাগ করে নেন নিজের অনুরাগীদের সাথে। তার অনুরাগীরাও তার সেইসমস্ত মুহূর্তের ঝলক দেখতে পছন্দ করেন। আর তার শেয়ার করা সেইসমস্ত ছবিগুলিও ভাইরাল হয় তার ভক্তদের মাঝে। তবে সম্প্রতি একটি পুরনো কথার সূত্র ধরেই চর্চায় অভিনেত্রী।
বৃহস্পতিবার, ২৮’শে এপ্রিল ৪০’শে পা দিলেন পর্দার ‘মিতিন মাসি’। এদিন তারকা থেকে সাধারণ সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। তারকা জগতের তারকাদের সেইসমস্ত শুভেচ্ছাবার্তাগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতেই শেয়ার হতে দেখা গিয়েছে, যা ভাইরাল হয়েছে নিমেষে। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, বাবা রঞ্জিত মল্লিকের জন্যই বাংলা সিনেমা জগতে কোয়েলের ডেবিউ একটা গোটা বছর পিছিয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেই কারণটিই সামনে এসেছে সকলের।
২০০২ সালে হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘সাথী’ ছবির হাত ধরেই রঞ্জিত মল্লিকের মেয়ে কোয়েল মল্লিকের বাংলা সিনেমা জগতে ডেবিউ ঘটার কথা ছিল। হরনাথ চক্রবর্তী চেয়েছিলেন এই ছবির হাত ধরেই এক নতুন জুটি আসুক টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে সেইসময় অভিনেত্রীর ডেবিউ গোটা একটা বছর পিছিয়ে গিয়েছিল। কারণ তখনো অভিনেত্রীর পড়াশোনা শেষ হয়নি। সেইসময় কোয়েল মল্লিক সাইকোলজি অনার্স নিয়ে পড়ছিলেন। বাবা চেয়েছিলেন তার মেয়ে পড়াশোনা শেষ করেই পা দিক অভিনয় জগতে, না হলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে তার পড়াশোনায়। একজন বাবা হিসেবে তিনি যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা বলাই বাহুল্য।
এরপরের বছরেই, ২০০৩ সালে হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘নাটের গুরু’ ছবিতে জিতের বিপরীতেই বাবা রঞ্জিত মল্লিকের হাত ধরে বাংলা অভিনয় জগতে ডেবিউ ঘটে অভিনেত্রীর। ইন্ডাস্ট্রি পায় এক নতুন মুখ। নয় নয় করে ১৯’টা বছর এই ইন্ডাস্ট্রিতেই কাটিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি এখন টলিউডের অন্যতম মুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক নিসপাল সিংয়ের সাথে সাত পাকে বাঁধা পরেছিলেন তিনি। এরপর থেকেই দুই পরিবারের মাঝে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কাজ করে চলেছেন অভিনেত্রী। সব মিলিয়ে আপাতত, অভিনেত্রীকে বড়পর্দায় দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তার অগণিত ভক্তরা।