গত বছর ৫ই মে ভোর বেলায় ফুটফুটে কবীরের জন্ম হয়। ছেলের জন্মের পর নিজের অনুরাগীদের সাথে খুশির খবর শেয়ার করেন অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামী নিসপাল সিং। তবে দুজনেই কবীরের ছবি জনসমক্ষে নিয়ে আসেননি অভিনেত্রী বা তাদের পরিবারের লোক। এর নেপথ্যে ছিল অন্য কারণ। কোয়েল চাননা তাঁদের ছেলে এত বেশি লাইমলাইটে থাকুক। আর পাঁচজন বাচ্চার মতো কবীরকে মানুষ করতে চান। তবে গত বছর দূর্গা পূজার মধ্যে প্রথমবার ছেলের সাথে নিজের অনুরাগীদের পরিচয় ঘটান কোয়েল। আর সেদিনই ছেলের নামকরণ করেন অভিনেত্রী।
ছেলের বয়স দুমাস হতেইকোয়েল ও তাঁর পুরো পরিবার করোনাতে আক্রান্ত হন। তবে এই একরত্তি করোনার হাত থেকে রেহাই পান। তখন নবজাতকের থেকে আলাদাই থাকতে হয় অভিনেত্রীকে। করোনা জয় করে ছেলের কাছে ফিরে বেশ আনন্দিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এই করোনা আবহে কবীরের সেভাবে কোনো আউটিং ও হয়নি। কবীরের জন্মের সময় থেকে টানা তিন মাস ছিল বাংলাতে পূর্ণ লকডাউন। যতই মন খারাপ হোক তবু করোনার থেকে রক্ষা পেতে বাড়িতেই থাকতে হয়।
গত সপ্তাহেই এক বছর পার করলো কোয়েল-নিসপাল সিং এর আদুরে পুত্র কবীর। দেখতে দেখতে কবীর এখন বেশ বড় হয়েছে৷ তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাড়তেই শহরে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন। আর এর মাঝেই ছেলের প্রথম জন্মদিন পড়ে তাই এইবারে ও হয়নি কোনো সেলিব্রেশন। এমনকি দুষ্টু করোনার জন্য ছেলের অন্নপ্রাশনও উদযাপন করতে পারেনি মল্লিক আর রানে পরিবার। কবীরের প্রতিটি শুভ অনুষ্ঠানে থাবা বসিয়েছে দুষ্টু করোনা। তাতে অবশ্য একটু বেশি দুঃখী আছেন কোয়েল এবং বাকিরা। তবে কবীরের প্রথম জন্মদিনে কোয়েলের অনুগামীরা একরত্তির একটি মিষ্টি ছবি শেয়ার করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ছেলের এই বিশেষ মুহূর্ত উদযাপন প্রসঙ্গে অভিনেত্রী কোয়েল জানিয়েছেন, এই আনন্দগুলোর চেয়ে অনেক জরুরি এই কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করা। আর এই একবছর ধরে অভিনেত্রীকে গত এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে কোয়েলকে। তবে তিনি ভেঙে না পড়ে পজিটিভ থাকার চেষ্টা করেন। আর তিনি বলেন এই সময় সব নতুন মায়েদের জন্য মানসিক ভাবে শক্ত থাকা দরকার। অভিনেত্রী এই সময় ভালো থাকতে খবর শোনা বন্ধ রেখে গান শুনছেন, ভজন শুনছেন। তবে এসবের মধ্যে অভিনেত্রী একটি জিনিস বেশ লাগে তা হল তিনি কবীরের সঙ্গে এখন অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন যেটা পেশাগত কারণে পারতেননা।