লকডাউন তো কি? মদের দোকানের সামনে ১০০০ জনের ভিড়, নাজেহাল পুলিশ
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী টানা ৪১ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে খুলছে মদের দোকান। গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোনের পাশাপাশি রেড জোনেও খুলবে মদের দোকান। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোনে খোলা থাকবে মদের দোকান। রেড জোনে আজকে দুপুর ১২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, পরে আবার সময় জানানো হবে। তবে শুধুমাত্র এফএল শপ গুলিই খুলবে। কোনো বার বা রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে না।
আর এই ঘোষণার পর থেকেই সমস্ত দোকানে উপচে পড়েছে সুরাপ্রেমীদের ভিড়। কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতে দেখা গেল নিয়ম ভাঙার নানা দৃশ্য। মদের দোকানের সামনে ভিড় সামলাতে গিয়ে হিমসিম খেল পুলিশ। কোথাও ইট দিয়ে লাইন রাখা হয়েছিল, কোথাও আবার বাজারের ব্যাগ রেখে লাইন দেওয়া হয়েছিল। সকাল ৯ টা বাজতে না বাজতেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর এলাকাতে রিজেন্ট ওয়াইন শপের দোকানে প্রায় ১০০০ লোকের বেশি লাইন পরে গেছে। আবার মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করতে ও দেখা গেছে।
গল্ফগ্রিনের মদের দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ইট দিয়ে গোল গোল করে দেওয়া হয়েছিল। সেই গোল কাটার মধ্যে ব্যাগ দিয়ে লাইন রেখেছিলেন মানুষ। কিন্তু পুলিশ সেই দোকানের সামনে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করায় দোকানদার আসলেও দোকান খুলতে পারেনি দোকানদার। ফলে হতাশা নিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন সুরাপ্রেমীরা। তবে এই লাইনগুলিতে সব শ্রেণীর মানুষকেই দেখা গেছে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র স্ট্যান্ডঅ্যালোন মদের দোকান গুলিই খুলবে। আবগারি দপ্তরের তরফে মদের দোকান গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খদ্দের পিছু এক বোতল করে মদ দেওয়ার জন্য। দোকানের কর্মীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দোকানের বাইরে বোর্ডে লিখে রাখতে বলা হয়েছে, “নো মাস্ক, নো লিটার”। একসাথে পাঁচজনের বেশি লাইনে দাঁড়াতে পারবেনা। কিন্তু দোকান খুলতেই এই হাজার হাজার মানুষের ভিড় সামলাতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। তাই বহুজায়গাতে দোকান খোলার সাথে সাথেই বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।