চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের শুরুতে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খুলতে চলেছেন মেট্রো পথ। নতুন ওই পথ কবি সুভাষ স্টেশনের সঙ্গে জুড়ে গেলে যাত্রীরা সোজাসুজি দক্ষিণেশ্বর থেকে রুবি পর্যন্ত যে কোন স্টেশনের মধ্যে যাতায়াত করতে পারেন। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বহু সুবিধা সম্ভাবনা তৈরি হওয়া নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে প্রবল উচ্ছ্বাস। এই নতুন মেট্রো লাইনের রং করা হয়েছে কমলা। অর্থাৎ এই নতুন মেট্রো লাইন পরিচিত হচ্ছে অরেঞ্জ লাইন হিসেবে। আসলে কতক্ষণ পরিষেবা পাওয়া যাবে, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মাথায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই অরেঞ্জ লাইনের ব্যাপারে বিস্তারিত।
মেট্রসূত্রের খবর, বিভিন্ন স্টেশন থেকে কাটছাঁট করে হাতেগোনা যতজন কর্মী পাওয়া যাচ্ছে তাতে মেরে কেটে আট ঘণ্টার পরিষেবা দেওয়া যাবে এই মুহূর্তে। সকাল বা বিকেল যখনই হোক না কেন, একটি শিফটের বেশি আপাতত কর্মী জোগাড় করা সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন মেট্রো কর্তারা। মেট্রো সূত্রে খবর, জোকা থেকে তারাতলা মেট্রোর ধাঁচে এই পরিষেবা শুরু হবে। সেক্ষেত্রে সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পরিষেবা চালু থাকবে। জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো বেলা বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত
মেট্রোর ক্ষেত্রেও এরকম নিয়ম কার্যকর হতে পারে।
রেলওয়ে সেফটি কমিশনার নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মেট্রোপথে একটি ট্রেনের সাহায্যে শর্তসাপেক্ষে পরিষেবা শুরু করার ছাড়পত্র দিয়েছেন। এই নতুন ব্যবস্থায় একটি ট্রেন এক প্রান্ত ছেড়ে যাত্রীদের নিয়ে অন্য প্রান্তে যাবে এবং সেখানে যাত্রীদের নামিয়ে আবারও একই পথে ফিরে আসবে। লাইনে কোন দ্বিতীয় ট্রেন না থাকায় সিগন্যালিং ব্যবস্থা ছাড়াই এই মেট্রো চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন অধিকর্তারা। তবে এভাবে মেট্রো চালানোর ছাড়পত্র দেওয়ার পরেও ট্রেনের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কবি সুভাষ এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশনে একাধিক পরিকাঠামোগত কাজ এখনো সম্পূর্ণ নয়। সেই কারণে সেই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন খোদ রেলওয়ে সেফটি কমিশনার।
মেট্রসূত্রের খবর, ওই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করা ছাড়াও ব্লু লাইন এবং অরেঞ্জ লাইনের বিভিন্ন স্টেশনের মধ্যে ভাড়ার সমন্বিত হার নির্ণয় করা কাজ এই মুহূর্তে চলছে। ওই হার অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় গেটে সফটওয়্যার পরিবর্তন করা হবে এবং সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে পরিষেবা শুরু করে দিতে আর কোন বাধা থাকবে না। ইতিমধ্যেই নতুন স্টেশনে কর্মীদের বদলি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সোজাসুজি রেল বোর্ড থেকে নতুন কর্মী আসার পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যায় মেট্রোরেক এবং চালক পেলে পরিষেবা বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা মেট্রোর আধিকারিকরা।