কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষ জুনের প্রথম সপ্তাহেই তীব্র গরম ও আর্দ্রতার কবলে পড়েছেন। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়লেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত তার দেখা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত কয়েকদিনের একটি নিম্নচাপ কেটে যাওয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা হ্রাস পেয়েছে। ফলে আবহাওয়ায় আরও বেশি আর্দ্রতা জমেছে, যার ফলে গরমের অস্বস্তি বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।
গত রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সোমবারের সর্বনিম্ন ছিল ২৯.২ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১.৪ ডিগ্রি বেশি। এর সঙ্গে উচ্চমাত্রার আদ্রতা যোগ হওয়ায় শহরবাসী চরম অস্বস্তিতে ভুগছেন।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবে পরবর্তী চারদিন তাপমাত্রা একই রকম থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায়, যেমন হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বর্ধমানে ২ ও ৩ জুন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মৌসুমি বৃষ্টির কোনও ব্যাপক প্রবেশ এখনই প্রত্যাশিত নয়।
উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়েছে প্রায় দশ দিন আগেই। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের জন্য মৌসুমী বায়ুর আগমন এখনও সময়সাপেক্ষ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর এই বিষয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টির অনুপস্থিতিতে গরম এবং জলীয় বাষ্পের পরিমাণে ভারসাম্য না থাকায় শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্নোত্তর (FAQ)
১. দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা কখন প্রবেশ করতে পারে?
বর্তমানে সুনির্দিষ্ট কোনও সময় জানানো হয়নি, তবে আবহাওয়াবিদদের মতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
২. তাপমাত্রা কতটা বাড়তে পারে?
আসন্ন ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা ২–৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
৩. কোন জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে?
হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বর্ধমানে ২ ও ৩ জুন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
৪. উচ্চ আর্দ্রতার প্রভাব কী হতে পারে?
অতিরিক্ত আর্দ্রতা শরীরে জলশূন্যতা ও ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে।
৫. এই গরমে কীভাবে সতর্ক থাকা যায়?
বাড়িতে থাকুন, বেশি জল পান করুন এবং দুপুরে রোদে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।














