টলিউডবিনোদন

কলকাতা ছেড়ে কৃষ্ণনগরে কৌশানী, খুঁজছেন বাড়ি ভাড়া

Advertisement

সম্প্রতি শুরু হয়েছে অভিনেত্রী কৌশানী মুখার্জি (kaushhani mukherjee)-র রাজনৈতিক সফর। কিছুদিন আগেই টলিটাউনের অন্য তারকাদের মতো কৌশানীও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। চৌদ্দ পুরুষে রাজনীতি না করা কৌশানী তৃণমূলে যোগ দিতেই আসন্ন নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। ফলে এখন তিনি টলিউড ছেড়ে দৌড়েছেন কৃষ্ণনগরে। সেখানে পৌঁছেই তিনি বাড়ি খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন। কারণ এখন তাঁকে ভোট প্রচারের জন্য থাকতে হবে কৃষ্ণনগরে।

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৌশানী বলেছেন, কৃষ্ণনগর তাঁর খুব প্রিয় জায়গা কারণ তাঁর প্রথম ফিল্ম ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’-র শুটিং এখানে হয়েছিল। মানে ভোট প্রচারের এটাই প্রথম স্টেপ। কারণ কৃষ্ণনগর এখনও বেরোতে পারেনি তাদের ‘শ্রাবন্তী নস্টালজিয়া’ থেকে। কারণ শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি(Srabanti chatterjee)-র প্রথম স্বামী রাজীব বিশ্বাস (Rajib Biswas) কৃষ্ণনগরের ছেলে। সুতরাং রাজীবের স্ত্রী থাকাকালীন বছরে তিন-চারবার শ্বশুরবাড়ি কৃষ্ণনগর যেতেন শ্রাবন্তী। ফলে একযুগ আগে রাজীব-শ্রাবন্তীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও কৃষ্ণনগর এখনও শ্রাবন্তীকেই টলিউডের নায়িকা বলে চেনে। এর মধ্যে নবাগতা কৌশানীকে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দাদের কতটা পছন্দ হবে, তাও প্রশ্ন।

কৌশানী নিজেও জানেন সেই কথা। সুতরাং নিজের প্রচারের সময় শ্রাবন্তীর বিজেপি যোগদানের প্রসঙ্গ হয়তো তুলে আনতে পারেন কৌশানী। আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দুর্গা’ মেনে কৌশানী বলেছেন, ‘দিদি’র জন্য সবাই তাঁকে ভোট দেবেন। যথারীতি কৌশানী বলতে শুরু করেছেন, তিনিও মানুষের জন্য কাজ করতে চান। তাহলে লকডাউনের সময় নিজের বয়ফ্রেন্ড বনি সেনগুপ্ত (bonny sengupta)-কে রেঁধেবেড়ে না খাইয়ে একটু সমাজসেবার কাজ করলে তো পারতেন। ওহো, আমরাই তো ভুলে যাচ্ছি, বনিও মানুষ এবং সমাজভুক্ত। যাই হোক, এবার সময় সব প্রশ্নের উত্তর দেবে।

Related Articles

Back to top button