ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতিদেশ

Ladki Bahin Scheme: মহারাষ্ট্রে লড়কি বেহেন যোজনার পরিমাণ হবে দ্বিগুণ, এবারে প্রতিমাসে পাওয়া যাবে ৩,০০০ টাকা

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এই জোট সরকার নিয়ে একটা বড় ঘোষণা করেছেন

Advertisement

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন আসতে চলেছে আর এবারে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নিজের সমর্থনে প্রচার ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের মহিলারা যদি তার সরকারকে সমর্থন করেন তাহলে মহারাষ্ট্রের অত্যন্ত জনপ্রিয় লাড়কি বেহেন প্রকল্পের অধীনে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করা হবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, বর্তমানে এই প্রকল্পের অধীনে বিবাহিত বিধবা এবং নিঃস্ব মহিলাদের প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা করে প্রদান করা হয় মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে এবং তাদের সরকার আবারও গঠিত হয়, তাহলে আগামী মহা জোট সরকারে এই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করা হবে।

মহাজোট সরকারের ভরসা এই প্রকল্প

বিধানসভা নির্বাচনের আগে চালু হওয়া মহাজোট সরকারের উচ্চবিলাসী কল্যাণ প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মাঝি লড়কি বেহেন যোজনা এর অধীনে এই মুহূর্তে ২১ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত বিবাহিত বিধবা এবং নিঃস্ব মহিলাদের প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সুবিধাভোগীদের বার্ষিক পারিবারিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে হবে। বিরোধী দলগুলি কেন এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন, তা নিয়ে বিষয় প্রকাশ করেছেন একনাথ। তিনি আস্থা প্রকাশ করেছেন, শিবসেনা, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি একসাথে এই মহাজোট গঠন করে আবারো বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করবে এবং মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠন করবে। কোলাপুরে কানেরী মঠে ধর্ম পতাকা উদ্বোধন উপলক্ষে সাধুদের সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই সমস্ত ঘোষণা করেছেন।

বিরোধীদের একহাত নিলেন একনাথ

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “প্রিয় বোনেরা যদি সরকারকে শক্তি দেয়, তাহলে এই টাকার পরিমাণ ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করা হবে। এমনকি এই টাকার পরিমাণ ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।” শিন্ডে বলছেন, বিরোধীরা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। সেই কারণে তারা যেকোনোভাবেই হোক এই প্রকল্পকে খারাপ প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। অন্যদিকে, শিন্ডে আরো বলেছেন, “আমরা যেভাবে ভারতের দেশি গরুকে রাজ্যমাতা-গোমাতা বলে ঘোষণা করেছি, সেরিকমভাবেই এটাও হতে চলেছে একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।”

Related Articles

Back to top button