পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক ভাতা ও সরকারি প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী এবং সর্বাধিক আলোচিত “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার”— এই প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলেছে। এখন সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যুক্ত হতে চলেছেন আরও বহু মহিলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ডিসেম্বর মাস থেকেই নতুন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ভাতা।
সম্প্রতি বীরভূম জেলার একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানান, “আমাদের এখানে বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৯ লক্ষ ২৫ হাজার মা-বোনেরা উপকৃত হন। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এখানে কোনও রকম রেস্ট্রিকশন নেই।” তিনি জানান, অন্যান্য রাজ্যে স্কুটি বা পাকা বাড়ি থাকলে ভাতা পাওয়া যায় না, কিন্তু বাংলায় এমন শর্ত নেই। তাই আরও বেশি সংখ্যক মহিলা এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
বর্তমানে এই প্রকল্পে সাধারণ জাতির মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতির মহিলারা ১২০০ টাকা করে পান। বেশ কিছুদিন ধরেই এই পরিমাণ বাড়ানোর জল্পনা চলছে। শোনা যাচ্ছে, সাধারণ জাতির ভাতা বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা এবং তপশিলি মহিলাদের জন্য ১৮০০ টাকা করা হতে পারে। যদিও, এই বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “২৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে সারাজীবন এই ভাতা মিলবে। মা-বোনেরা নিশ্চিন্তে থাকুন, আমরা যা বলি, তা করি।” এছাড়া, শেষ দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে যে সকল আবেদন জমা পড়েছে, তার ৯০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ কাজ শেষ হলেই ডিসেম্বর থেকে নতুন গ্রাহকরা ভাতা পেতে শুরু করবেন।
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নতুন গ্রাহকরা কবে থেকে ভাতা পাবেন?
→ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে নতুন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ভাতা জমা পড়বে।
বর্তমানে সাধারণ ও তপশিলি জাতির মহিলারা কত টাকা করে পান?
→ সাধারণ মহিলারা ১০০০ টাকা এবং তপশিলি মহিলারা ১২০০ টাকা করে পান।
ভাতা বৃদ্ধির কোনও ঘোষণা হয়েছে কি?
→ এখনো সরকারিভাবে ঘোষণা হয়নি, তবে ১৫০০ ও ১৮০০ টাকা করার প্রস্তাব আলোচনায় রয়েছে।
অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার প্রকল্পে কী সুবিধা রয়েছে?
→ বাংলায় ভাতা পেতে কোনও বাড়তি শর্ত নেই—স্কুটি, ফোন বা পাকা বাড়ি থাকলেও ভাতা পাওয়া যায়।
দুয়ারে সরকারে জমা পড়া আবেদনগুলির কী অবস্থা?
→ ৯০% আবেদন ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াকরণ হয়েছে; বাকি ১০% কাজ শেষ হলেই সুবিধা মিলবে।














