লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে এখনই সতর্ক হোন। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী জুলাই মাস থেকেই যাঁদের ফর্মে কোনও ভুল রয়েছে, তাঁরা আর এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। ফলে হাজার হাজার উপভোক্তার সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ—কীভাবে এবং কখন এই ভুলগুলো ঠিক করবেন?
রাজ্য সরকারের এই ঘোষণা আসতেই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে বহু জায়গায়। অধিকাংশ ভুলই ধরা পড়ছে আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ব্যাক্তিগত তথ্যে গরমিলের কারণে। যেমন কারও আধার কার্ডের নাম আর ফর্মে থাকা নামের মধ্যে পার্থক্য, অথবা অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে আবেদন জমা পড়েছে।
এই সমস্যা সমাধানের পথও বাতলে দিয়েছে প্রশাসন। উপভোক্তাদের নিকটবর্তী ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দফতরে গিয়ে তথ্য সংশোধন করতে বলা হয়েছে। তাড়াতাড়ি না করলে আগামী মাস থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা।
রাজ্য প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোনও আবেদনপত্রে ভুল থাকলে তা সংশোধন না করলেই সুবিধা বাতিল হবে। কারণ, ফান্ডের স্বচ্ছ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিতরণের জন্য নির্ভুল তথ্য অপরিহার্য। সরকারি স্তরে স্ক্রুটিনি আরও কঠোর হচ্ছে। তাই ফর্ম জমা দেওয়ার সময় যাঁরা তথ্য যাচাই না করে দিয়েছেন, তাঁদের সমস্যা আরও বাড়তে চলেছে।
প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক কার্যালয় ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে। স্থানীয় স্তরে দেওয়া হচ্ছে মাইকিং, চালু হয়েছে হেল্পলাইন, এবং প্রশিক্ষিত কর্মীরা কাজ করছেন সংশোধনের জন্য।
আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর:
১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্মে কী ধরনের ভুল হলে টাকা বন্ধ হতে পারে?
ভুল আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য গরমিল, অথবা ব্যাক্তিগত তথ্য যেমন জন্মতারিখ বা ঠিকানায় গণ্ডগোল হলে টাকা বন্ধ হতে পারে।
২. কোথায় গেলে ফর্মের ভুল সংশোধন করা যাবে?
নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বা স্থানীয় ব্লক/পঞ্চায়েত/পুরসভা অফিসে গিয়ে সংশোধন করা যাবে।
৩. সংশোধনের শেষ তারিখ কী?
সরকারিভাবে এখনও নির্দিষ্ট দিন জানানো না হলেও, জুলাইয়ের আগেই এই প্রক্রিয়া শেষ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
৪. সংশোধনের সময় কী কী কাগজপত্র লাগবে?
আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবুক, সংশোধিত তথ্য প্রমাণ সহ ভোটার কার্ড বা অন্য পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
৫. একবার ভুল সংশোধনের পর ফের যাচাই হবে কি?
হ্যাঁ, সংশোধনের পর প্রশাসনিক স্তরে ফের স্ক্রুটিনি করা হবে এবং সঠিক থাকলে সুবিধা ফের চালু হবে।














