কাটল জোটের জট, জানুন নির্বাচনে কে কটা আসনে লড়বে
জোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বামফ্রন্ট ১৬৫, কংগ্রেস ৯২ ও আইএসএফ ৩৭ আসনে নির্বাচনে লড়বে
একুশে বিধানসভা নির্বাচন একদম দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণোদ্যমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। এদিকে বাম কংগ্রেস জোট তাদের জোটের জট সমাধান করতে ব্যস্ত। তবে দীর্ঘ টানাপোড়েন ও বিতর্কের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের আসন রফা। এর ফলে বেশ স্বস্তিতে বাম শিবির। আসলে আসন রফা করার ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হয়েছিল কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের মধ্যে। কংগ্রেস কোনোভাবেই তাদের আসন “ভাইজানের” জন্য ছাড়তে রাজি হয়নি। কংগ্রেসের সাথে আইএসএফ এর সম্পর্কে চিড় আরো বেড়ে ছিল ব্রিগেডের দিন থেকে। তবে দফায় দফায় বৈঠকে বামেদের মধ্যস্থতায় বর্তমানে রফা হয়েছে তাদের সংঘাতের।
বেশ কয়েকদিন ধরে বাম কংগ্রেস আইএসএফ জোট দফায় দফায় বৈঠক করছে তাদের আসনরফা চূড়ান্ত করার জন্য। নানা বিতর্ক ও সংঘাতের পর গতকাল রাত্রে জোট সূত্রে জানানো হয়েছে, বামেরা লড়বে ১৬৫ টি আসনে। যার মধ্যে সিপিএমের অধিকার ১৩০ আসন। এছাড়া বামেদের অপর শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক লড়বে ১৫ আসনে। আরএসপি ও সিপিআইয়ের ভাগ্যে যথাক্রমে ১১ ও ৯ টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস শিবির এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ৯২ টি আসনে তাদের প্রার্থী দেবে। এছাড়া জোটের নতুনতম সংযোজন আইএসএফ পাচ্ছে ৩৭ টি আসন। যদিওবা আইএসএ প্রধান ভাইজান অর্থাৎ আব্বাস সিদ্দিকী ৪৫ টি আসনের দাবি করেছিল, তাও তাকে তা দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত সিদ্দিকীর ঝুলিতে ৩৭ আসনই এসেছে।
তবে আজকে আসনরফা হলেও জোটের মধ্যে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। আব্বাস সিদ্দিকী ৩৭ টা আসনের মধ্যে তিনটি আসন পরিবর্তন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি তার ৩৭ টি আসনের মধ্যে যেকোন তিনটি আসন পরিবর্তন করে মালদহে অত্যন্ত একটি এবং উত্তরবঙ্গের দুটি জেলাতে একটি করে আসন চান। কিন্তু সেই জায়গাতে আসন ছাড়তে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অন্যদিকে বাৎসরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের সাথে পুরুলিয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব হচ্ছে কংগ্রেসের মধ্যে। তবে আবারো কংগ্রেস ও আইএসএফ নেতারা বৈঠকে বসবে বলে জানা গিয়েছে।