সাজন থেকে শুরু করে পুকার, অন্যদিকে আবার খলনায়ক, বেটা, মৃত্যুদন্ড এমনকি সাম্প্রতিক কালের কলঙ্ক, সব সিনেমাতেই তার রূপ এবং অভিনয়ের জাদুতে তিনি মাতিয়ে রেখেছেন সমস্ত দর্শককুলকে। প্রায় ৩টি দশক কেটে গেলেও তিনি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। আজকেই ৫৪ বছরে পা রাখলেন বলিউড ডিভা মাধুরি দীক্ষিত নেনে।
বয়স ৫৪ হলেও তার রূপের জৌলুস এখনো একইরকম আছে। তিনি তার নাচের দক্ষতায় এবং তার অভিনয় দক্ষতার প্রদর্শনে সিনেপাগল ভারতবাসীর মনে নিজের একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে মাধুরী দীক্ষিতের জীবনেও এমন কিছু বিশেষ ঘটনা এবং মুহূর্ত আছে যা এখনও ভক্তদের কাছে অজানাই রয়ে গেছে।
এম এফ হুসেন মাধুরি দীক্ষিতের রূপের একজন বড়ো প্রসংশক ছিলেন। মাধুরীর ছবি দেখার জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। জানা যায় মাধুরীর সৌন্দর্যে তিনি এতটাই অভিভূত ছিলেন যে সালমান এবং মাধুরী অভিনীত হাম আপকে হ্যায় কৌন ছবিটি তিনি ৪৭ বার দেখেছিলেন। এছাড়াও গুঞ্জন শোনা যায়, আজা নাচলে ছবিটি দেখার জন্য তিনি নাকি গোটা একটা সম্পূর্ণ থিয়েটার বুক করে ফেলেছিলেন।
ছোট বয়স্ থেকেই মাধুরী নাচ শিখছেন। মাত্র ৭ বছর বয়সে তিনি গুরু পূর্ণিমা উৎসবে এত সুন্দর নাচ করেন, যে তার নাম পত্রিকায় ওঠে।মাত্র ৯ বছর বয়োসে তিনি তার নাচের দৌলতে কত্থক নৃত্যের জন্য একটি বিশেষ বৃত্তি লাভ করেছিলেন।
মাধুরী নিজে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন। তাই লক্ষ্য পূরণের জন্য তিনি মুম্বাইয়ের সত্যয়া কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু একদিন হঠাৎ মাধুরী রাজশ্রী প্রোডাকশনের গোবিন্দজীর নজরে পড়ে যান। সেখান থেকেই তার অভিনয় জীবনের পথ চলা শুরু। রাজশ্রী প্রোডাকশনের প্রযোজনায় প্রয়াত অভিনেতা তাপস পালের বিপরীতে অবোধ ছবিতে তাকে প্রথমবার দেখা যায়।
মাধুরী দীক্ষিত যে ছবির মাধ্যমে ভারতের সকল দর্শকের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন সেই ছবিটি হলো সালমান খানের সঙ্গে হাম আপকে হ্যায় কৌন। ছবিতে সালমান খানের থেকে মাধুরী দীক্ষিতের পারিশ্রমিক বেশি ছিল। সেই যুগে এই ছবিটি করার জন্য মাধুরী দীক্ষিতের পারিশ্রমিক ছিল প্রায় ৩ কোটি টাকা।