শ্রেয়া চ্যাটার্জি – রবিবারের খাওয়া-দাওয়া মানেই দুপুরের খাবার পাত্রে মাংস থাকবেই। মাংসের ঝোল কি আর সব দিন খেতে ভালো লাগে? তাই আজকে দুপুরের মেনুতে রান্না করতেই পারেন ‘গোলমরিচ চিকেন’। গুঁড়ো লঙ্কার বদলে গোলমরিচ ব্যবহার করতে পারেন। গোলমরিচ শরীরের জন্য খুবই ভালো একটি মশলা। এর মধ্যে থাকা পিপারিন খুব তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে। গোলমরিচ ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। গোলমরিচ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যার পর যার ফলে সর্দি-কাশি ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রতিদিন গোলমরিচের সঙ্গে মধু খেলে উপকার পাওয়া যায় গলা ব্যথাও কমে। শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়ার জন্য গোলমরিচ এর জুড়ি মেলা ভার। গোলমরিচের ইতিহাসটা অনেক পুরনো।
গোলমরিচ কিন্তু আমাদের ভারতে চাষ হতো না। ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের ভাস্কোডাগামা গোল মরিচের ব্যবসা করার নামে মাদ্রাজের কালিকট এ আসেন। সেখানকার রাজা ছিলেন জামোরিন। যিনি ভাস্কো-ডা-গামা কে অনেক সম্মান দেখানো স্বাগত জানান। সব মিলিয়ে দেখা গেল গোলমরিচ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর মুরগির মাংস তো যথেষ্টই সহজপাচ্য। শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেকেই এটি খেতে পারেন। তবে আজকের গোলমরিচ চিকেন এই রেসিপিটি গরম গরম ভাতের থেকেও পোলাও, ফ্রাইড রাইস কিংবা লুচি পরোটা সঙ্গে খেতে বেশি ভালো লাগবে।
উপকরণ : চিকেন, পেঁয়াজ বাটা, টমেটো বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা, কাঁচা লঙ্কা বাটা নুন, চিনি স্বাদমতো, সাদা তেল গোটা গোলমরিচ, গোলমরিচ গুঁড়ো, টক দই
প্রণালী : চিকেনের টুকরো গুলি নিয়ে তাতে টক দই, পেঁয়াজ বাটা টমেটো বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ম্যারিনেট করে এক ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। কড়াইতে সাদা তেল গরম করতে দিতে হবে। ফোড়ন হিসাবে তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ এবং গোটা গোলমরিচ দিতে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে ম্যারিনেট করা চিকেন কড়াইতে দিয়ে দিতে হবে। এমনভাবে করতে হবে যেন মাংসের পাশ দিয়ে তেল ছেড়ে যায়। ভালো করে কষা হয়ে গেলে, অল্প উষ্ণ জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে মাংস সেদ্ধ হতে দিতে হবে। কেউ যদি লঙ্কার ঝাল খেতে পছন্দ করেন তো, এর সঙ্গে কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা বেটে দিতে পারেন। কিছুক্ষণ পরে ঢাকা খুলে নুন, মিষ্টি স্বাদ মতন দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘গোলমরিচ চিকেন’।