দিনে ২১ টাকা বিনিয়োগ করেই পেয়ে যান ২ লক্ষ টাকা, এলআইসি সুযোগ দিচ্ছে এই নতুন প্রকল্প গ্রহণের
এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে আপনারা ১১০ শতাংশ রিটার্ন পেয়ে যাবেন
ভারতের বাজারে এই মুহূর্তে বহু বীমা কোম্পানি এলেও এখনও পর্যন্ত দেশবাসী আস্থা রেখেছে লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার উপরে। বেসরকারি বীমা কোম্পানির ভিড়ে লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশনের ওপরে ভরসা করেন অনেকেই। সেই কারণে এখনো এলআইসি বিকল্প দেশে একটাও তৈরি হয়নি। বহু বছর ধরে এই গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে একের পর এক নতুন নতুন পলিসি এনে চলেছে এলআইসি কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এই তালিকায় যুক্ত হল একটি নতুন সংযোজন – এলআইসি ভাগ্যলক্ষী প্ল্যান।
মূলত কম উপার্জনকারী বা নিম্ন মধ্যবিত্তের কথা ভেবেই এই বীমা পলিসি নিয়ে এসেছে এলআইসি কর্তৃপক্ষ। তাহলে এইআপনি যদি নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীভুক্ত হন এবং বিম্ব পলিসি কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে এই এন্ডডাউমেন্ট প্ল্যান একটি দুর্দান্ত স্কিম হতে চলেছে আপনার জন্য।এই পলিসিতে আপনারা কম পরিমাণ বিনিয়োগ করে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ জমাতে পারবেন খুব সহজে। এলআইসি ভাগ্যলক্ষী প্ল্যান একটি নন লিঙ্ক ব্যক্তিগত মাইক্রো ইন্সুরেন্স টার্ম প্ল্যান। এই প্ল্যানে বিনিয়োগ করে আপনি মেয়াদ পূর্তির পর ১১০ শতাংশ রিটার্ন পেতে পারেন। আপনি বিভিন্ন সময়ের জন্য এই বীমা পলিসি কিনতে পারবেন।
এই প্রকল্পে যদি আপনি বিনিয়োগ করেন তাহলে নূন্যতম বিমাকৃত অংক হতে হবে ৫০ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ রাশি হতে হবে দুই লক্ষ টাকা। প্ল্যান কেনার বয়স হতে পারে ৮ বছর থেকে ৪২ বছর পর্যন্ত। প্রিমিয়াম পরিশোধ করার ন্যূনতম সময়কাল ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ সময়কাল ১৩ বছর। পলিসির মেয়াদ হবে প্রিমিয়াম পেমেন্টের মেয়াদ এর সঙ্গে দু’বছর বেশি। এই প্লানের সর্বোচ্চ পরিপক্কতার বয়স হতে পারে ৬৫ বছর।
যদি কোন ব্যক্তি ২০ বছর বয়সে ১৫ বছরের জন্য এলআইসি ভাগ্য লক্ষ্মী প্ল্যান কিনতে চান তবে সেই পরিস্থিতিতে তাকে ১৩ বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিতে হবে। যদি আপনার বীমার পরিমান দুই লক্ষ টাকা হয় তাহলে প্রতি ১ হাজার টাকার জন্য ৩৭.২০ টাকা করে প্রিমিয়াম দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বার্ষিক প্রিমিয়াম হবে ৭৪৪০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে একদিনে মাত্র ২১ টাকা খরচ করতে হবে। আপনি ১৫ বছর পর মেয়াদ পূর্তিতে দু লক্ষ টাকা সম্পূর্ণ রিটার্ন পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ বিনিয়োগ করার পরিমাণ এর প্রায় ১১০ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন পেয়ে যাবেন আপনারা।