LIC-র এই দারুন স্কিম থেকে আপনি প্রতি মাসে পেয়ে যাবেন ১২,০০০ টাকা পেনশন, জেনে নিন সম্পূর্ণ ডিটেইল
এলআইসির এই নতুন স্কিম অনুযায়ী একটা সময় পরে প্রতিমাসে আপনাকে পেনশন দেওয়া হবে
এমন বেশ কিছু যোজনা এই মুহূর্তে ভারতে আছে যেখানে আপনি একবার নিবেশ করলে আপনি সারাজীবন ধরে সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। সারা জীবনে এই যোজনা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট টাকার অ্যামাউন্ট দিতে থাকবে এবং আপনার ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখবে। এই মুহূর্তে ভারতীয় জীবন বিমা নিগম ওরফে এলআইসির তরফ থেকে একটি সরল পেনশন যোজনা স্কিম নিয়ে আসা হয়েছে ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য। ২০২১ এর পয়লা জুলাই থেকে এই সরল পেনশন যোজনা লঞ্চ করে দেওয়া হয়েছিল এলআইসি-র দ্বারা। এটি একটি নন-লিঙ্ক সিঙ্গেল প্রিমিয়াম স্কিম, যেখানে আপনারা একবার প্রিমিয়াম জমা করলেই আপনি সারা জীবন পেনশন নিতে পারবেন। পাশাপাশি যদি স্বামী-স্ত্রী একসাথে এই পেনশন যোজনায় যোগদান করেন তাহলে সুবিধা পাবেন আরো বেশি।
যদি আপনার বয়স ৪০ বছর থেকে ৮০ বছরের মধ্যে হয় তাহলে আপনি এই যোজনায় নিজের নাম লেখাতে পারবেন। অফলাইন এবং অনলাইন দুই ভাবেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। তার পাশাপাশি এই পেনশন যোজনায় আপনাকে একবার মাত্র প্রিমিয়ার দিতে হবে এবং প্রত্যেক মাসে পলিসিধারক সর্বাধিক ১২,০০০ টাকা করে মাসিক পেনশন পেয়ে যাবেন। এই যোজনা অনুযায়ী আপনি পলিসি শুরু হওয়ার পরে ৬ মাসের পর যেকোন সময় লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
এই যোজনা যদি আপনি গ্রহণ করেন তাহলে আপনি পেনশন গ্রহণ করতে পারবেন একটা নির্দিষ্ট সময় পরে। আপনি প্রতি মাসে একবার করে পেনশন নিতে পারবেন, তিন মাসে একবার করে পেনশন নিতে পারবেন অথবা ছমাসে একবার করে পেনশন নিতে পারবেন। এই প্লানের ন্যূনতম অ্যানিউটি প্রতিমাসে ১২,০০০ টাকা প্রতি বছরে। এই স্কিমের মাধ্যমে পেনশন নিতে গেলে সর্বাধিক টাকা জমা দেওয়ার তেমন কোনো ব্যাপার নেই। তবে যদি আপনি পেনশন গ্রহণ করতে চান তাহলে প্রতিমাসে আপনাকে ন্যূনতম এক হাজার টাকা করে জমা দিতে হবে।
এলআইসির সরল পেনশন যোজনা আপনারা দুভাবে গ্রহণ করতে পারবেন। প্রথমটি হলো আপনি নিজে এই পেনশন স্কিম গ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট সময় পরে পেনশন পেতে থাকবেন এবং আপনার মৃত্যুর পরে পুরো টাকা আপনার নমিনির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এবং দ্বিতীয় হল আপনি জয়েন্ট একাউন্ট খুলতে পারেন, যেখানে আপনি এবং আপনার স্বামী অথবা স্ত্রী আপনার সাথে জয়েন্ট পেনশন গ্রহণ করতে পারবেন। যদি দুজনের মধ্যে কেউ একজন মারা যান তাহলে অন্যজনকে পুরো পেনশন দেওয়া হবে। আর যদি দুজনেরই মৃত্যু হয় তাহলে জমানো পুরো টাকা নমিনির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।