মলয় দে নদীয়া: ১৫ বছর ধরে তাঁতের কাজ জানলেও, বিগত তিন বছর আগে উপযুক্ত পারিশ্রমিকের জন্য সংসার ছেড়ে কোচবিহার জেলা পেরিয়ে আসতে হয়েছিল শান্তিপুরে। প্রেমানন্দ মন্ডল, কৃষ্ণ মণ্ডল, সুভাষ রায়, উদয় তালুকদার এই চারজন শান্তিপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষখাঁকি লেনের বিশ্বজিৎ বসাকের বাড়ির কারখানা ঘরের পাশে ছোট্ট একটি জায়গায় নিজেরাই রান্না করে কোনোরকমে দিন অতিবাহিত করতেন।
মজুরি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ তারা পৌঁছে দিতেন কোচবিহারে, তাদের পরিবারের কাছে। লকডাউনে আটকে থাকা এই চার বিশ্বকর্মাকে নিজের পরিবার সদস্য মনে করেই এতদিন চালিয়ে এসেছেন মালিক বিশ্বজিৎ বাবু। ছয় পরিবার সদস্য বিশিষ্ট ছোট এই ব্যবসায়ী নিজের দু’মুঠো অন্নের সাথে জুগিয়েছেন কর্মচারীদেরও; কিন্তু লকডাউন ধীরে ধীরে এত দীর্ঘস্থায়ী হবে এমনটা ভাবেননি কখনো। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
অবশেষে শরণাপন্ন সংবাদমাধ্যমের। সংবাদকর্মীর মাধ্যমে স্থানীয় বিডিও র কাছে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়। সমগ্র বিষয়টি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। যদিও বা ছাড়পত্র মেলে , বাড়ি যাওয়ার। ব্যক্তিগতভাবে গাড়ি ভাড়া, জোগাড় করতে পারবেন না কর্মচারী বা মালিক কেউই! তাঁতিদের পক্ষ থেকে জানানো হয় দীর্ঘদিন ধরে চাল ডাল সহ নানা খাদ্যদ্রব্য নিয়মিত পৌঁছানোর থেকে, একবার বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলে, পরিবারের সান্নিধ্যে না খেতে পেয়ে মরাও ভালো। কতখানি বিপাকে মানুষ এরকম মন্তব্য করতে পারে, সে বিচার না হয় আপনারাই করুন।