পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে দেশে করোনার প্রকোপে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৮০০। আর এই জরুরি পরিস্থিতিতে লক ডাউন আরও বাড়বে কিনা সেবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এদিন আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে লক ডাউন দীর্ঘায়িত করা হবে কিনা সে ব্যাপারে মত জানতে চাওয়া হয় রাজ্যগুলির কাছে। আর তাতে হিমাচল প্রদেশ ও মেঘালয় ব্যতীত সকল রাজ্যই লক ডাউন তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। স্বল্প সময়ের ফলে নয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্য রাখতে পেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বাকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের লিখিত ভাবে নিজেদের মত জানাতে বলা হয়েছে। তারপর লক ডাউনের সিদ্ধান্তে স্থির হবে কেন্দ্র সরকার।
প্রথম দফার লক ডাউনের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী করোনার প্রকোপের ফলে দ্বিতীয় দফার লক ডাউন ঘোষণা করেন। আগামী ৩রা মে দ্বিতীয় দফার লক ডাউনের অন্তিম দিবস। কিন্তু ওই দিনই কি লক ডাউন শেষ হবে নাকি তার সময়সীমা আরও বাড়বে, এবং বাড়লে তা কতদিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হবে এই নিয়েই আজ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেসমস্ত এলাকাগুলি রেড জোনের তালিকায় রয়েছে তাদের ক্রমে অরেঞ্জ জোন ও শেষে গ্রিন জোনে পরিনত করতে হবে। মোদি এই বৈঠকে ‘দো গজ কি দূর’- মন্ত্রে বিশ্বাসী হতে আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ এড়াতে মানুষকে মাস্ক পরতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। এছাড়াও তিনি জানান, আগামী দিনে মাস্ক জীবনের একটি অঙ্গ হয়ে উঠবে।