সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিলেন চন্দননগরে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় শাসক দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবার সম্ভাবনা উস্কে দিলেন। প্রসঙ্গত মার্চ মাসে অবসর গ্রহণ করার কথা ছিল হুমায়ুন কবিরের কিন্তু কিছুদিন আগেই জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি ইস্তফা দিয়ে দেন। এছাড়াও তার স্ত্রী অনিন্দিতা দাস কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
তৃণমূলে যোগদান নিয়ে হুমায়ুন কবিরকে কটাক্ষ করেছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তিনি বললেন, “আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল যখন তেলেনিপাড়া হিংসার ঘটনা ঘটে তখন থেকে। আমি এবং অর্জুন দা বারবার ঢোকার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু উনি ঢুকতে দেননি। হিংসার ঘটনায় উনি সম্পূর্ণ ইন্ধন জুগিয়েছে সবসময়। উনি বরাবর চির অমর হয়ে কাজ করেন আর আমরা বারবার বলেছি ৫০ শতাংশ প্রশাসনের মানুষ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। আমরা সংসদে বলেছি নির্বাচন কমিশনে বলেছি।আমরা দাবি করেছে তৃণমূলের হয়ে যারা কাজ করছেন তাদের জন্য নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়। আগামী মে মাসে যেন তাদের সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে দেওয়া হয়। আমরা যখন ক্ষমতায় আসবে তখন এদেরকে জবাব দেব।”
যদিও রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পাঠানো ইস্তফাপত্র হুমায়ুন কবির সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফা গ্রহণ করেছিলেন। তবে তখন থেকেই তার রাজনীতিতে যোগদান করার বিষয় নিয়ে জল্পনা উস্কে গিয়েছিল। তিনি ২০০৩ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার। তবে শুধুমাত্র আইপিএস অফিসার হিসেবে নন, তিনি সাহিত্য চর্চায় বেশ পারদর্শী বটে। বাম আমলে তিনি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা যায়।