বলিউডবিনোদন

Jagnoor Aneja: মাত্র ৪০-এ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত ‘লাভ স্কুল’ খ্যাত জুগনূর আনেজা

Advertisement

ফের বলিউডে খারাপ খবর! বলিউড সুপারস্টার সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যুর একমাসও হয়নি, ফের বৃহস্পতিবার সকলে চমকে দেওয়ার মতো খবর শোবিজ দুনিয়া থেকে। ‘এমটিভি লাভ স্কুল’ খ্যাত জুগনূর আনেজা মাত্র ৪০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ব্যপার হল, তিনি কিছুদিন আগে মিশরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান জুগনূর। 

এমনকি অভিনেতা নিজের মিশরে ছুটি কাটানোর বহু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন জুগনূর। তাঁর এই আকস্মিক মৃ্ত্যুর খবর চাউর হতেই হতবাক হয়েছে নেটিজেনরা। অভিনেতার অনুগামীরা তাঁর মৃত্যুর খবর কিছুতেই হজম করতে পারছেন না। 

দু-দিন আগেই মিশর থেকে একটি দুর্দান্ত ভিডিও পোস্ট করেছিলেন জুগনূর। সেখানে ইয়োহানির ভাইরাল গান ‘মানিগে মাগে হিথে’র সুরে একটি রিল ভিডিও পোস্ট করেছিলেন প্রয়াত রিয়েলেটি টিভি তারকা। আর সেখানে নিজের স্বপ্নপূরণের কথা অনুগামীদের জুগনূর লিখেছিলেন, ‘গিজার পিরামিড দেখতে পাওয়া আমার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। আমার ইচ্ছের বাকেট লিস্ট থেকে আরও একটা স্থান কমে গেল।’

উল্লেখ্য, এমটিভি লাভ স্কুলের সিজন ১ ও সিজন ২-এর অংশ ছিলেন জুগনূর। সেইসময় এই শো সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অনুশা দাণ্ডেকর ও করণ কু্ন্দ্রা। প্রথম সিজনে প্রেমিকা মনিষার সঙ্গে যোগ দেন জুগনূর, কিন্তু পরবর্তী সময়ে দুজনের ব্রেক আপ হয়ে যায়। এরপর মনিকার সঙ্গে সম্পর্কে আবদ্ধ হলেও এই সম্পর্কও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

প্রয়াত অভিনেত ঘুরতে বড্ডো ভালোবাসতেন জুগনূর আর তা সোশ্যাল মিডিয়া ছিল তাঁর বড় প্রমাণ। ইতিমধ্যে বিশ্বের ১১টি দেশ ঘুরে দেখেছেন। কিন্তু তাঁর এই অকাল প্রয়াণে স্বপ্নের বাকি দেশ আর ঘোরা হলনা। তিনি হয়তো জানতেনও না এটাই তাঁর শেষ ভ্রমণ ছিল।৷ পাশাপাশি একজন লাইফ কোচ হিসাবেও কাজ করতেন তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রাম বায়ো-তে লেখা রয়েছে-‘রানওয়ে পরিচালক ও পর্যটক। আমি মানুষকে তাঁদের জীবন বদলাতে সাহায্য করি।’ মডেলিং এজেন্সি ‘ইন্ডিয়ান স্কুল অফ মড অ্যান্ড ফ্যাশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর ছিলেন জগনূর। এত কম বয়সে তাঁর মৃত্যু সত্যি এক বড় ধাক্কা সকলের কাছে। 

ইনস্টাগ্রামে জুগনূরের একটি ছবি পোস্ট করে ‘ছোটি সর্দারনি’ খ্যাত মাহির পান্ধি লেখেন, ‘তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি। তোমাকে খুব মিস করছি ভাই। পরপারে ঠিক দেখা হবে।’ মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে জুগনূরের চলে যাওয়াটা অনুরাগীদের ফের একবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে সিদ্ধার্থ শুক্লার অকাল প্রয়াণের কথাই। 

Related Articles

Back to top button