শক্তি বাড়িয়েছে নিম্নচাপ। সকলের বুকেই আশা জেগেছিল এবার নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বর্ষণে বৃষ্টির ঘাটতি মিটবে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু সেই আশা অধরাই রইল। ওড়িশা দিয়ে এই নিম্নচাপটি ছত্রিশগড় অভিমুখী হয়েছে যার ফলে শক্তি বাড়ালেও বিশেষ একটা প্রভাব পড়বে না এই রাজ্যের ওপর। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে এই নিম্নচাপের প্রভাবে আজ উপকূলের জেলা এবং সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক দফা ভারী বৃষ্টি হবে। এছাড়া হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। কলকাতাতেও কয়েক দফা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে গতকালের মতই।
তবে এই নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূল অঞ্চলে বেশ ভালোই বৃষ্টি হবে। ফলে জলোচ্ছ্বাস বাড়বে এবং সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্র উপকূলে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে দমকা বাতাস বইতে পারে। তাই আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রের নামায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে পর্যটকদেরও। মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুর, বকখালি ও সাগরদ্বীপের মত উপকূল অঞ্চলে।
তবে প্রশ্ন এখন এই নিম্নচাপের অবস্থান কোথায়? আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে এর অবস্থান। এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ওড়িশার উপর দিয়ে নিম্নচাপের অভিমুখ হতে পারে ছত্রিশগড়ের দিকে। তাই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আজ এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়বে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সেই সাথে এই সমস্ত জেলাগুলিতে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে দমকা বাতাস বইতে পারে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে এবার কমবে বৃষ্টি। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ইত্যাদি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা এবং কোথাও কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের দিকে তাপমাত্রা বাড়বে উত্তরবঙ্গে। তাপমাত্রার সাথে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার জন্য অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।