আজ, ১ অগস্ট, শুক্রবার থেকে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দামে বড়সড় ছাড় মিলছে। তেল বিপণন সংস্থাগুলোর তরফে ১৯ কেজির বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে ৩৩.৫০ টাকা। এই পরিবর্তন আজ থেকেই সারা দেশে কার্যকর হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তে সামান্য স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন রেস্তোরাঁ, হোটেল, ক্যান্টিনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলির মালিকরা।
গত ১ জুলাইও ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম ৬০ টাকা কমানো হয়েছিল। তবে, বেশ কয়েক মাস ধরে সাধারণ ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দামে কোনও রকম পরিবর্তন আনা হয়নি। ফলে এবারও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের জন্য কোনও স্বস্তির খবর নেই।
দাম কমার পর শহরভিত্তিক হালফিল দাম কেমন?
দিল্লিতে নতুন বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৬৩১.৫০ টাকা। কলকাতায় গৃহস্থালি ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এখনও ৮৭৯ টাকা। অন্যান্য শহরে এই সিলিন্ডারের দাম কিছুটা কম-বেশি রয়েছে, যেমন মুম্বইয়ে ৮৫২.৫০ টাকা, চেন্নাইতে ৮৬৮.৫০ টাকা। পাটনায় এটি ৯৪২.৫০ টাকা ছুঁয়েছে।
এছাড়াও কিছু শহরের গৃহস্থালি সিলিন্ডারের দাম নিচে দেওয়া হল:
লখনউ: ৮৯০.৫০
জয়পুর: ৮৫৬.৫০
আগ্রা: ৮৬৬.৫০
গাজিয়াবাদ: ৮৫০.৫০
ভোপাল: ৮৫৮.৫০
হায়দরাবাদ: ৯০৫
এপ্রিল মাসের ৮ তারিখেই শেষ বার গৃহস্থালি সিলিন্ডারের দাম বাড়ানো হয়েছিল ৫০ টাকা করে। সেই দাম এখনও বলবৎ রয়েছে।
তবে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যে এই কমদামের প্রভাব পড়বে, তা স্পষ্ট। বিশেষ করে খাদ্যপরিবেশন বা হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে দৈনিক ভিত্তিতে গ্যাস ব্যবহারের চাহিদা বেশি থাকে। ফলে তাদের খরচ কিছুটা হলেও কমবে।
জানুন এই বিষয়ে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর:
এই দাম কমার ফলে কাদের সরাসরি লাভ হবে?
মূলত হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যাটারিং এবং ছোট-মাঝারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা উপকৃত হবেন।
গৃহস্থালি সিলিন্ডারের দাম কি কমেছে?
না, সাধারণ ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
কবে থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে?
১ অগস্ট, শুক্রবার থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।
প্রতি মাসেই কি দাম কমানো বা বাড়ানো হয়?
তেল বিপণন সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক বাজারের ভিত্তিতে প্রতি মাসে এলপিজি-র দাম পর্যালোচনা করে।
বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালি সিলিন্ডারের দামের পার্থক্য কেন এত?
গৃহস্থালি সিলিন্ডারে সরকারের তরফে ভর্তুকি বা নিয়ন্ত্রণ থাকে। বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে তা নেই। ফলে তার দাম বাজার-নির্ভর।














