৯০ দশক থেকে বলিউডে যে নিজের নাচে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সে আর কেউ না মাধুরী দীক্ষিত। ক্লাসিকাল হোক কিংবা ওয়েস্টার্ন সবেতেই তিনি একশো তে একশো। নাচ ও অভিনয় দক্ষতার জোরে নিজের একেবারে আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছিলেন অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। লাগিয়ে দিয়েছেন সে আর কেউ না মাধুরী দীক্ষিত। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘তেজাব’, এর এক দুই তিন এখনো বহু ভক্তের মনে রাজ করছেন। এরপর অভিনেত্রীর একাধিক সিনেমার সাথে নানান নাচের ভিডিও দেখলে বহু অনুরাগী আজ নেচে ওঠেন।
বয়স ৫৩ তবে অভিনেত্রীর তবে গ্ল্যামার অভিনেত্রীর এখনো ঠিক আগের মতো আছে। স্বামী সন্তানের সাথে সাথে মন দিয়ে সিনেমা আর রিয়ালিটি শোয়ের নানান কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন মাধুরী। আর মাঝে মাঝে নিজের নাচের নানান তালিম নিয়ে বেশ কিছু ভিডিও শেয়ার করেই থাকেন অভিনেত্রী। কিছুদিন আগে মাধুরী ওয়েব সিরিজের অভিনয় করা শুরু করেছেন। নেটফ্লিক্সের একটি ওয়েবসিরিজে কাজ করছেন তিনি। মাধুরী দীক্ষিতের ওয়েব সিরিজের নাম ‘ফাইন্ডিং অনামিকা’।
১৯৯৯ সালে ডক্টর শ্রীরাম নেনে এবং মাধুরী দীক্ষিতের বিবাহ সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ ২২ বছর এখন এরা হ্যাপিলি ম্যারেড কাপল। সম্প্রতি অভিনেত্রী কাজ থেকে ছুটি নিয়ে স্বামী ও দুই সন্তানের সাথে মালদ্বীপ ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। আর মালদ্বীপে যাওয়ার প্রথম দিনই এই মিষ্টি দম্পতি একেবারে রোমান্টিক মুডে ধরা দিয়েছিলেন। সি বিচের ধারা খোলা আকাশের নীচে ক্যান্ডেলাইট ডিনারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এই জুটি। করোনা আবহে মালদ্বীপ যাওয়ার জন্য নেটদুনিয়াতে নানান কটাক্ষের স্বীকার হতে হয়। তবে এর কোনো প্রতিবাদ তিনি করেননি। কিছুদিন আগে অভিনেত্রী দ্বিতীয় ভ্যাকসিন নিয়েছেন আর সকলকে ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
সম্প্রতি অভিনেত্রী স্বামী ডা.শ্রীরাম নেনের সঙ্গে একটি ‘থ্রোব্যাক’ ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিটি আজকের নয় বেশ পুরোনী। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, স্বামীকে দু’হাতে জড়িয়ে রেখেছেন মাধুরী। গাল জুড়ে হাসি থাকলেও চোখ বন্ধ রয়েছে অভিনেত্রীর।অন্যদিকে, স্ত্রীয়ের কাঁধ হাত রেখে হাসিমুখে ফ্রেমবন্দী ডা.নেনে। মাধুরী পরণে রয়েছে অলিভ রঙের ফুল স্লিভ টপের ওপর ডেনিম রঙের ডাঙরি।ছবিতেই স্পষ্ট মাধুরীর চোখের চশমা। অন্যদিকে নেনে পড়েছেন ধূসর রঙের শার্টের ওপর নেভি ব্লু রঙের সোয়েটারের সাথে শর্ট আর পায়ে সাদা রঙের স্নিকার্স। ক্যপশানে লিখেছেন, “ভালোবাসার মানুষকে যতটা পারেন আঁকড়ে ধরে থাকুন।’ এরপর অনুগামীরা এই মিষ্টি দম্পতিকে ভালোবাসা জানিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট।
