মুম্বই: করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউন হওয়ার ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষ আজও কর্মহীন। ধুঁকছে ভারতের অর্থনীতি। আর এ কথা এক বিবৃতিতে নিজেরাই স্বীকার করে নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পর্যন্ত বলেছিলেন যে, ভারতের অর্থনৈতিক এই মুহূর্তে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে। যদিও ধীরে ধীরে তা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। এমন অবস্থায় দেশের বিভিন্ন রাজ্য সরকার নিজ নিজ রাজ্যে বেশ কিছু সাহায্যের হাত সাধারণ মানুষদের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও সরকার চাল, ডাল এসবের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কোনও সরকার আবার ভর্তুকিহীন রেশনের মাধ্যমে নিম্নবিত্ত মানুষগুলোর মুখে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার যোগান করেছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই কোথাও যেন ব্রাত্য রয়ে গিয়েছিল যৌনকর্মীরা। তবে তাদের ব্রাত্য থাকার দিন শেষ হতে চলেছে। কারণ, রাজ্যের সমস্ত যৌনকর্মীদের পাশে থাকার জন্য হাত বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে দ্বিতীয় দফার লকডাউন চলছে। করোনা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। তাই উদ্ধব ঠাকরে সরকার দ্বিতীয়বার লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে লকডাউন চলছে। এরই মাঝে অভিনব ঘোষণা মহারাষ্ট্র সরকারের। মহারাষ্ট্রের তথ্য ও শিশু বিকাশ মন্ত্রী যশোমতী ঠাকুরের প্রসঙ্গে বলেছেন, আর্থিক মন্দার বাজারে সরকারের সকল যৌনকর্মীদের পাশে থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে ৫১ কোটি টাকা অনুদানের সাহায্য করা হবে যৌনকর্মীদের। জানা গিয়েছে, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে পাঁচ হাজা টাকা করে যৌনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর মধ্যে যে সকল যৌনকর্মী সন্তানরা স্কুলে যায়, তাদের পতন ঘটানোর জন্য আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
প্রতি মাসে পাঁচ কেজি করে রেশন দেওয়া হবে। যার মধ্যে তিন কেজি গম এবং দু’কেজি চাল থাকবে। সব মিলিয়ে মোট ৫১ কোটি ১৮ লাখ টাকা যৌনকর্মীদের অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা কর হযেছে।। জন্য ধার্য করেছে মহারাষ্ট্র সরকার স্বভাবতই এই ঘোষণার ফলে স্বস্তি পেয়েছেন সে রাজ্যের যৌনকর্মীরা।