শ্রেয়া চ্যাটার্জি – গরমকালে পটল খুব সহজেই পাওয়া যায়। গরম গরম ডাল, ভাতের সঙ্গে প্রথম পাতে পটল ভাজা একেবারে জমে যায়। কিংবা পটলের দোলমা সেও এক অসাধারণ রেসিপি। কিংবা রাতে রুটির সঙ্গে আলু পটলের তরকারি, তা অবশ্য খানিকটা একঘেয়ে হয়ে গেছে। তাই সবজি খেতে যারা পছন্দ করেন না, কিংবা পটল খেতে খেতে জিভের স্বাদ চলে গেছে তাদের জন্য রইল ‘চাল পটল’।
পটল সবজি হিসেবে ভীষণ উপকারী, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এর জুড়ি মেলা ভার। গরমকালে পটল পেট ঠান্ডা করে। যারা ডায়েট করছেন, তারা তাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিত পটল রাখতে পারেন কারণ ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রক্তকে পরিশোধিত করে ত্বকের যত্ন নেয় পটল। কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগারের রোগীরা অনায়াসে পটল খেতে পারেন। নেপালে অসুস্থ ব্যক্তিদের পটলের স্যুপ খাওয়ানো হয়। পটল শুধু আমাদের দেশে নয়, বিদেশেও এর কদর আছে। ইন্দোনেশিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে রান্না করা হয় পটল। শুনলেন তো পটলের কত গুনাগুন, তাই পটলকে আর দূরে সরিয়ে না রেখে পটল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নিত্য নতুন রেসিপি। যা খেতেও সুস্বাদু শরীরের জন্য বেশ ভালো।
উপকরণঃ গোবিন্দভোগ চাল কিংবা বাসমতি চাল, বড় বড় সাইজের পটল, হলুদ গুঁড়ো, গোটা জিরে, আদা বাটা, গরম মশলা গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো, ঘি, নুন, মিষ্টি স্বাদ মত।
প্রণালীঃ প্রথমে চাল ধুয়ে ভালো করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। পটল গুলোর খোসা হালকা করে ছাড়িয়ে পটলে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। একটি ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করে তাতে গোটা জিরে, তেজপাতা ফোড়ন দিতে হবে। এরপর আদা বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো তেলের মধ্যে দিয়ে ভাল করে কষাতে হবে। তারপর ধোয়া চাল কড়াইয়ে দিয়ে ভাল করে নাড়তে হবে। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে একটু গরম জল ঢেলে চাপা দিয়ে ভাত সিদ্ধ করতে দিতে হবে। ভাত খানিকটা সেদ্ধ হয়ে গেলে ভেজে রাখা পটল দিয়ে আবারো ঢাকা দিতে হবে। নুন, মিষ্টি দিতে হবে। নামানোর আগে কয়েক চামচ ঘি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘চাল পটল’।