আমেরিকা : সারা বিশ্বে করোনা যে ভাবে থাবা বসিয়েছে,তারমধ্যে থেকে বাদ যায়নি আমেরিকাও। আমেরিকায় এখনো পর্যন্ত করোনার গ্রাসে ১ লক্ষ ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে ।এদিকে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ভোট, আর করোনার আবহে রোজ প্রচুর মানুষ চাকরিও হারাচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশে এখন চরম সঙ্কটজনক পরিস্থিতি, কিন্তু তার মাঝেও ভোটযুদ্ধে নিজের আসন বাঁচাতে প্রায় প্রতিদিনই মিথ্যে আশ্বাস দিচ্ছেন ট্রাম্প।
কিন্তু এতোকিছুর মধ্যেও ট্রাম্প পত্নী ম্যালেনিয়া ট্রাম্প দেশের মানুষের প্রতি সহানুভূতি জানান। হোয়াইট হাউসের ‘রোজ গার্ডেন’ থেকে দেওয়া ভাষণে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প বলেন, গত কয়েকমাসে দেশের মানুষের জীবন কী ভাবে বদলে গিয়েছে, তা তিনি বোঝেন।দেশের খারাপ পরিস্থিতি তিনি একবারের জন্যেও অস্বীকার করেননি। উপরন্তু ট্রাম্প-পত্নী জানান “আমেরিকাবাসীর এই দুর্দশা দূর না করা পর্যন্ত আমার স্বামী লড়াই থামাবেন না”।
কিন্তু এই সহানুভূতির প্রতিক্রিয়াও তেমন একটা ইতিবাচক নয়। কারন বিগত পাঁচ মাস ধরে দেশের এই খারাপ অবস্থায় ভেঙ্গে পড়েছে অর্থনৈতিক কাঠামো , অন্যদিকে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অনেকেই মনে করতে পারছেন না এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শেষ কবে ট্রাম্প মৃত কোভিড আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আর এতোকিছুর মধ্যেও ট্রাম্পপত্নীর বানী কতদূর দেশের জনগনের ভরসা বজায় রাখতে পারবে সেটাও দেখার বিষয়।
ভোটের বাজারে এখন কিভাবে দেশের মানুষকে নিজেদের ভরসার যোগ্য করে তোলা যায় সেই নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বললেও ,বিরোধীদের সাফ মত এবছর হয়তো আর ট্রাম্পের ফেরা সম্ভব নয়। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে কি হবে তা দেখতে এখন নভেম্বরের দিকে তাকিয়ে থাকাই শেষ সম্বল।