বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন দিক নির্দেশ করতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই ভারতের সবথেকে বড় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের ভারতের সবথেকে বড় প্যাকিং কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ওয়ারহাউসটি তৈরি করা হয়েছে নদীয়া জেলার হরিণঘাটায়। বৃহস্পতিবার হওয়া এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই সংস্থার সিইও কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র, পরিবহন এবং আবাসনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ফ্লিপকার্ট এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই নতুন ওয়্যারহাউসের স্থাপনের জন্য বাংলায় ১১ হাজারেরও বেশি সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এছাড়াও পাশাপাশি রাজ্য এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে ২০ হাজার বিক্রেতাকে সরাসরি সাহায্য করা সম্ভব হবে এই ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে। এছাড়াও ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে তুলে ধরার জন্য ফ্লিপকার্ট সচেষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি। সব থেকে বড় কথা হল কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে ১০০ একর জমিতে তৈরি হচ্ছে এই বিশাল বড় ওয়্যারহাউজ, যা সংস্থার কথায় ফুলফিলমেন্ট সেন্টার।
যদিও এর আগে হাওড়ার আমতায় তাদের মুদিখানার পণ্যের একটি ফুলফিলমেন্ট সেন্টার চালু করা হয়েছিল। ভার্চুয়ালি এই ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের কাছে গর্বের বিষয় যে ফ্লিপকার্ট ভারতের সবথেকে বড় ফুলফিলমেন্ট সেন্টার এখানেই তৈরি করল।’ তিনি আরো যোগ করলেন, “শিল্পের পরিবেশের জন্য উদ্যোগপতিদের কাছে বাংলা এখন সেরা জায়গা।”
অন্যদিকে সংস্থার সিইও কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন, “প্রত্যেক ভারতীয়কে সংযুক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে ফ্লিপকার্টের। ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে শিল্পী থেকে কৃষক, সকলকে একত্র করার ক্ষমতা রয়েছে এই ই-কমার্স ওয়েবসাইটের।” উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেই এই লজিস্টিক হাব তৈরি করার কাজ শুরু করে দিয়েছিল ফ্লিপকার্ট কতৃপক্ষ। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে এর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল সম্পূর্ণভাবে। এবার বৃহস্পতিবার এই ফুলফিলমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন করলেন মমতা।