করোনা সংক্রমনের দাপটে নাজেহাল গোটা দেশবাসী। বেহাল অবস্থা বাংলারও। তাই বাধ্য হয়ে রাজ্য সরকার কার্যত লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছে। বেশীরভাগ সরকারী এবং বেসরকারী অফিস ওয়ার্ক ফ্রম হোম ভিত্তিতে চলছে। কিন্তু এর মাঝেই ব্যাংক কর্মীদের বাধ্য হয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে কারণ এই পরিষেবার ওয়ার্ক ফ্রম হোম বিকল্প সম্ভব নয়। তাই এই ভয়াবহতার মাঝেও তাদের রোজ অফিস গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে মেলামেশা করে কাজ করতে হচ্ছে। সমস্ত কর্মীরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রন্টলাইন কর্মীদের মধ্যে ব্যাংক কর্মীদের অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবি জানানো হয়েছিল। এবার সেই দাবিতে সাড়া দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে ব্যাংক কর্মীদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাংক কর্মীসহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের টিকাকরণের বিষয়ে সওয়াল হয়েছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মধ্যে রেল, বিমান, বন্দর, বীমা, প্রতিরক্ষা ও ব্যাংকের কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সব কর্মীরাই দেশের জরুরী পরিষেবা কাজ করে যাচ্ছে। কাজের স্বার্থে তারা অনেকের সাথে মিশতে বাধ্য হচ্ছে। তাই বয়স নির্বিশেষে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দ্রুত টিকা দেওয়া উচিত।”
মুখ্যমন্ত্রী গতকালের এই চিঠির পরেই তিনি ব্যাংক কর্মীদের টিকাকরণের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। রাজ্য সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শুনে খুশি ব্যাংক কর্মীরা। তাদের প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংকে বসে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে হচ্ছে। এই অবস্থায় অনেকেই করোনা রোগী আক্রান্ত হয়ে পড়ছিলেন। আবার অনেকের এই রোগে মৃত্যু হয়েছে। তাই তারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে আবেদন করেছিলেন যে তাদের যেন টিকাকরণ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাতে সাড়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার অগ্রাধিকারের জন্য তারা তাড়াতাড়ি প্রথম ডোজ টীকা নিয়ে নিতে পারবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি লকডাউনে ব্যাংক কর্মীদের কাজের সময় সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো করে দেওয়া হয়েছে।













A$AP Rocky Appears to Confirm Marriage to Rihanna, Calls Himself a ‘Loving Husband’