নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মমতা, বেলা ১১টায় শুনানি
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পরাজয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুনর্গণনার দাবি নিয়ে হাইকোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের কাছে পুনর্গণনার দাবি নিয়ে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনা যুদ্ধে তিনি মাটি ছাড়বেন না তাই নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে দেড় মাসের মধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মাত্র কিছু ভোটে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্তত নির্বাচন কমিশনের গণনা তাই বলছে। কিন্তু এর মধ্যে বেশ কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। প্রথমে সংবাদমাধ্যমের কাছে জানানো হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন, তারপর আবার ফলাফল ঘুরিয়ে বলা হয় শুভেন্দু অধিকারী জিতেছেন।
তাই নন্দীগ্রামের শুভেন্দু অধিকারীর জয় নিয়ে প্রথম থেকেই সমস্যা চলছিল। আর পরাজয়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে যাওয়ার ঘোষণা করে দেন। সেইমতো ১৭ তারিখের আগেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর আজকে এই মামলার প্রথম শুনানি হবে বলে হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিত্বমূলক আইনে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি করা হবে।
গত ২ মে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রথমে জানা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম থেকে জিতে গেছেন। কিন্তু তারপর আবার শোনা যায় নাকি শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করেছেন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বেশ কিছুক্ষণ লোডশেডিং হয়েছিল, অন্যদিকে আবার বেশ কিছুক্ষণ লিংক ছিল না। সব মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল যতক্ষণ লোডশেডিং ছিল সেই সময় ভিতরে থাকা ইভিএম পাল্টে ফেলা হয়েছে। এই অভিযোগে প্রথম থেকেই নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে প্রথমে মনে করা হচ্ছিল হাইকোর্টে এই মামলা গৃহীত হবে না। কিন্তু মামলা গৃহীত হয়ে যাবার পরেই নন্দীগ্রামে ভোটের কারচুপি নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। বিজেপির আইটি সেল এর সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালব্য টুইট করেছেন, ” হেরেছেন তারপরও জনগণের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” অন্যদিকে আবার শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ” গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে ভোটে হেরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর অন্যদিকে ভোটে জিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।” তবে বিজেপি নেতারা যাই বলুন না কেন, যদি এই মামলায় পুনর্গণনার আরজি গৃহীত হয় তাহলে কিন্তু বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ আরো একবার পাল্টাতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।