দিল্লি দখল করার জন্য এবারে অগ্রসর হতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে আবার মমতা ব্যানার্জি দিল্লি যেতে না যেতেই তার জন্য শুরু হয়ে গেলো নতুন স্লোগান। দিল্লির কুরসি দখল করতে এবার নরেন্দ্র মোদির পথে হাঁটতে শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্লোগান তুললেন সমস্ত বিরোধী শক্তিকে একজোট হওয়ার জন্য। গত ২১ শে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেস শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে সমস্ত বিরোধী শক্তিকে একজোট হবার বার্তা দিয়েছিল। ফলাফল যাই হোক না কেন সর্বশক্তি দিয়ে বিজেপির বিরোধিতা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন সমস্ত বিরোধী দলকে।
ইতিমধ্যেই ২০২৪ নির্বাচনকে টার্গেট করে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ আরো তীক্ষ্ণ করতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি এবং অমিত শাহ জুটিকে পরাস্ত করে বাংলার মসনদে তৃতীয়বারের জন্য বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই সরাসরি এবারে মোদি সরকার কে টার্গেট করতে শুরু করেছেন তিনি। ২৬ শে জুলাই রাজধানী দিল্লিতে পা রাখতে চলেছে মমতা ব্যানার্জি। তার আগেই আবার টুইটারে তৃণমূলের হয়ে নতুন প্রচার পর্ব শুরু হয়ে গেল। হঠাৎ করেই টুইটারের ট্রেন্ডিং হতে শুরু করল আবকি বার দিদি সরকার। ২০১৪ নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদির জন্য যে রকম ভাবে সারাদেশে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল ঠিক একইভাবে এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য স্লোগান চলছে।
এদিন বাংলা মডেলকে গোটা দেশে চালু করার সুফল উল্লেখ করে টুইটারে তৃণমূল নেতারা পোস্ট করলেন এই বিষয়ে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের মাঝেই এই শ্লোগান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে তুলতে এবং বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে এককাট্টা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র এই শ্লোগান অত্যন্ত কার্যকরী হতে চলেছে বলে মতামত অনেকের।
সোশ্যাল মিডিয়া প্রত্যেক বছরের নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার হয়ে থাকে সকল রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে। এবারেও কিছুটা সেরকমভাবেই পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চেয়ে ছিলেন বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে আবার পেগাসাস এবং অন্যান্য ইস্যু নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছেন তৃণমূল সাংসদরা। বর্তমানে সেই আন্দোলন গোটা দেশের নজর কেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বসে সংসদীয় রাজনীতিতে আগামীদিনের রূপরেখা তৈরি করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৮ শে জুলাই হয়তো এই বৈঠক হতে চলেছে। তারই প্রাক্কালে এই নতুন হ্যাশট্যাগ জনপ্রিয়তা পাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ বিজেপির।