কলকাতানিউজরাজ্য

কলকাতার ‘দুয়ারে দুয়ারে’ পৌঁছে গেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেলেন হালতুর মমতা

Advertisement

দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এবারে কলকাতার হালতুর এক মহিলার কাছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সেই মহিলার নাম মুখ্যমন্ত্রীর নামেই। এমনকি বয়সের দিক থেকেও দুজনে প্রায় সমসাময়িক। দুজনের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, আর অন্যজন বাংলার নাগরিক হবার সৌজন্যে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর প্রাপক।

দেশের মধ্যে এই প্রথম রাজ্যের সমস্ত মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করলে আপনারা বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবেন নিজের সমস্ত রোগের। কিভাবে তার জন্য আবেদন করবেন, তা নিয়ে নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল। মঙ্গলবার কলকাতার প্রথম নাগরিক এবং পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এর কাছ থেকে এই কার্ড গ্রহণ করেন হালতুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে ইনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নন, বাংলার একজন সাধারণ নাগরিক। এনার বাড়ি যাদবপুরের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের হালতু তে। এই কর্মসূচিতে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা বোরো কডিনেটর তারক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ” প্রথম স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রাপকের শুধু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নামে মিল নয়, বয়সটাও প্রায় ৬৫ বছরের কাছাকাছি। উনার বাড়ির ঠিকানা ৩/১০২, সুচেতা নগর।”

বাড়িতে গৃহবধূ হিসেবে দায়িত্ব সামলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে পেয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আবেগাপ্লুত এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞ। মায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নামের মিল থাকায় খুশি তার পুত্র অজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। গরফাতে দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে এসে কার্ড হাতে নেবার পর মমতা দেবী জানিয়েছেন,”পরিবারের প্রধান হিসেবে আমার নামে বিনামূল্যে চিকিৎসার কার্ড পাওয়ার ব্যবস্থা করা মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করছি।” উল্লেখ্য, পরিবারের অভিভাবক এর নামে ৫ লক্ষ টাকার বীমা সংক্রান্ত কার্ড দেখিয়ে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল এবং ভেলোর ও এইমস এ আপনারা চিকিৎসা করাতে পারবেন এই কার্ড ব্যবহার করে।

Related Articles

Back to top button