বিধানসভা ভোটের আগে গরিবদের মন জয় করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শুরু করেছেন মধ্যাহ্নভোজ কর্মসূচি। গত দুবার রাজ্যে এসে তিনি গরিবদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন। আর এবারে অমিত শাহের (Amit Shah) এই লোক দেখানো খাওয়া-দাওয়া কে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বোলপুরে বলেছিলেন, “উনি আসবেন, আদিবাসীদের বাড়িতে বসে ফাইভ স্টারের খাবার খাবেন। এটা বাউল এবং আদিবাসী ভাই-বোনদের অপমান। এই অপমান তারা মেনে নেবেন না।’ তাই এবারে শুধু ভোটের নয় সারাবছর মানুষের মধ্যে মিশে যাবার ব্যাপারটি প্রমাণ করার জন্য বুধবার বল্লভপুর ডাঙ্গা এলাকাতে চায়ের দোকানে রান্না করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে শোনেন গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগ। তবে শুধু খুন্তি নেড়ে চলে আসা নয়, এই সমস্ত অভিযোগের সমাধান করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবারে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের পরিষেবা সেখানে পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসন হয়েছে উদ্যোগী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর ডাঙ্গা আদিবাসী গ্রামে হাজির হয়েছেন সেখানকার বিডিও, উপপ্রধান সহ আরো অনেকে। সকলের সমস্যার তালিকা নথিভুক্ত করে তারা বঞ্চিতদের নাম সিলেক্ট করেছেন। ২৮ ডিসেম্বর এক গুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বীরভূম সফরে গিয়ে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সফল শেষের আগে হঠাৎ করে তিনি পৌঁছে যান বল্লভপুর ডাঙ্গা এলাকাতে। সেখানে গিয়ে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। সেখানকার সমস্ত অভাব অভিযোগ তিনি শোনেন। অনেকে শৌচাগার এবং পানীয় জলের দাবি জানিয়েছেন। সেই সমস্ত অভিযোগ শোনা মাত্রই মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজ শুরু করেছেন সেখানকার জেলাশাসক।
বৃহস্পতিবার সকালে বল্লভপুর ডাঙ্গা আদিবাসী পাড়ায় হাজির হয়েছেন বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও, রুপ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ অন্যান্য অনেকে। সার্ভে করার কাজ তারা শুরু করেছেন। গ্রামের অনেকের মতামত, আমরা অনেকেই বঞ্চিত ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী কে একথা জানা নোর পরে কাজ শুরু করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, ওই গ্রামের অনেক মানুষ অনেক রকম পরিষেবা পায়। তার পরেও যা নেই তার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।