বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কে পরাস্ত করে দেওয়ার পরে এবারে তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য হলো ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে এবারে গুটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরে ভারতের জাতীয রাজনীতিতে বর্তমানে অন্যতম বড় মুখ হিসেবে সামনে আসছেন মমতা ব্যানার্জি। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি যাত্রা মমতার। সোমবার রাজধানীতে পা রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
দিন কয়েক আগে শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে একত্র হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই আবার দিল্লি যাত্রা। এই দিল্লি যাত্রায় আবার বেশ কিছু বিজেপি বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা আছে তার। ইতিমধ্যেই দিল্লি গিয়ে পৌঁছেছেন বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র প্রশান্ত কিশোর। তিনি নিজেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন।
অন্যদিকে আবার পেগাসাস ইস্যুতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল এর মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে কংগ্রেস। এই বিষয়টিকে একেবারেই হালকাভাবে দেখতে রাজি নয় রাজনৈতিক মহল। তাদের মতামত, টুইটার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সোনিয়া গান্ধী সুনিপুণভাবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য রণকৌশল প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন।
দিল্লি সফরের আগেই আবার তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সংসদের পেগাসাস, এবং কৃষি আইনের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে বাদল অধিবেশনে কার্যত আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে, দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সংসদীয় রাজনীতিতে আগামী দিনে রূপরেখা তৈরি করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রা রাজনৈতিক মহলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্ভাবনা আছে সংসদীয় কমিটির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করবেন আগামী ২৮শে জুলাই। ঠিক সেইদিনই আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। করোনা ভাইরাসের টিকা এবং রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। তার সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের অতিসক্রিয়তার বিষয়টি তুলে ধরতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মাত্র তিন বছর রয়েছে আগামী লোকসভা নির্বাচনের। তার আগেই বাংলা বিজয়ের পরে অতিরিক্ত অক্সিজেন লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কারণেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রাকে হালকা ভাবে দেখতে চাইছে না কোনো রাজনৈতিক দলই।














Florence Pugh Speaks Out on Zach Braff’s “Unfair” Treatment Over Their 21-Year Age Difference