জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে আনতে দিল্লি সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃষ্টিভেজা দিল্লিতে মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭ লোক কল্যাণ মার্গে গিয়ে হাজিরহাট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেখানে মোদির সাথে মিনিট ২৫ বৈঠক করেন তিনি। তারপর বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের দাবি দাওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে মূলত দুটি দাবি রেখেছেন তিনি। প্রথমটি হলো রাজ্যে যাতে করোনা ভাইরাসের টিকার সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয় দাবিটি হলো, যাতে পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টে বাংলা রাখা হয়। এই দুটি দাবি ছাড়াও আরো কিছু বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুইজনের সম্পর্ক মোটামুটি গত কয়েক বছর ধরে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে জাতীয় এবং রাজ্যের রাজনীতিতে। তার মধ্যেই আবার বিজেপি কে পরাস্ত করে তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেনমমতা ব্যানার্জি। তারপরে এই প্রথম মোদি মমতার বৈঠক। তাই এই হাইভোল্টেজ বৈঠকের দিকে সকলের নজর ছিল সকাল থেকেই। ২৫ মিনিটের বৈঠক শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে এসে বলেন, “তৃতীয়বার আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছিলাম। এটা সম্পূর্ণভাবে সৌজন্য সাক্ষাতকার ছিল। নির্বাচনের পর দেখা করাটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।”
আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে মমতা করলেন, “আমি মূলত করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। যা ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে তার থেকে আমাদের চাহিদা আরেকটু বেশি। প্রত্যেক রাজ্য টিকা পাক, তাতে কোন অসুবিধা নেই কিন্তু আমাদের রাজ্যের ক্ষেত্রে কম অনুপাতে ভ্যাকসিন এসেছে।” দ্বিতীয় দাবির ক্ষেত্রে তিনি বললেন, “অনেকদিন হয়ে গেল, দয়াকরে এবার আপনি আমাদের রাজ্যের নামটা বদলে ব্যবস্থা করুন।” যদিও প্রধানমন্ত্রী তার সমস্ত দাবি করেছেন বলেই এদিন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মমতা। তিনি জানাচ্ছেন, ওর কথা আমার মুখ দিয়ে বলা ঠিক নয়। তবে আশা করছি উনি বিষয়টা দেখবেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বললেন, “আমরা সব সময় পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের বিরুদ্ধে। দলগতভাবে বিজেপি কখনোই পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের বিষয়টি সমর্থন করবে না।”