রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত প্রায় সবসময় লেগেই থাকে। আবারো সপ্তাহের শুরুতে কোচবিহারের বিজেপি কর্মী খুন প্রসঙ্গে বেজায় চটেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি ভোটের আগে রাজ্যে এরকম রাজনৈতিক হিংসা কোনভাবেই মেনে নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। কোচবিহারের বিজেপি কর্মী খুন প্রসঙ্গে তাঁর পরিবারের সন্দেহের তীর গেছে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এই রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করার হুকুম জানিয়ে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল স্বয়ং। অবশ্য পাল্টা জবাব দিতেও পিছপা হয়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপাল এদিন সরাসরি জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে জানিয়েছেন যে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা ও হত্যাকাণ্ড সত্বর বন্ধ করতে হবে। তিনি এরকম অরাজকতা বরদাস্ত করবেন না কোনদিন। এছাড়াও সে বিজেপি হওয়ার অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন যে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের তোয়াক্কা করেন না। আগামী বিধানসভা ভোটে কে জিতল বা কে হারলো তাতে তার কিছু যায় আসে না। কিন্তু তিনি কোনোভাবেই রাজ্যের নাগরিকদের কষ্ট সহ্য করবেন না। তিনি হলেন ভারতীয় সংবিধানের এজেন্ট বা সংবিধানের সিপাই। তিনি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থেকে রাজ্যের মানুষের পাশে থাকবেন।
অন্যদিকে, রাজ্যপালের কটাক্ষের পর চুপ থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে শান্তি বিঘ্নিত করতে বিপক্ষ দল বাংলার বাইরে থেকে গুন্ডা বাহিনী ভাড়া করে নিয়ে আসছে। তারা রাজ্য অশান্তি সৃষ্টি করে ভোটের আগে মানুষদের অস্থির করে তুলতে চায়। এটাই তাদের ভোটব্যাঙ্ক স্ট্রাটেজি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি রাজ্যপালকে সাবধান করে বিদ্রুপ করে বলেছেন বিপক্ষ দলের পাতা ফাঁদে যাতে না পা দেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপালকে কেউ কখনো আক্রমণ করতে পারবে না। সেই ব্যবস্থা মমতা নিজেই স্বয়ং করে রেখেছেন। মমতা বাংলা পুলিশ বাহিনীকে রাজ্যপালের সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।