কলকাতা: শতাব্দী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা শুধু সময়ের অপেক্ষা। দীর্ঘ স্পনসর সমস্যা অবশেষে মিটেছে। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ইস্টবেঙ্গল। ফলে অ্যাটলেটিকো দি কলকাতা, মোহনবাগানের সঙ্গে আগামী মরশুমে আইএসএল খেলতে দেখা যাবে ইস্টবেঙ্গলকেও। আর শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবকে এবার আইএসএলে খেলা নিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা দিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
রেড ডেভিলদের টুর দিরেক্টর ক্রিস্টোফার কোমেন ইস্টবেঙ্গলের সেক্রেটারি কল্যাণ মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে এক চিঠিতে লেখেন, ‘আমরা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস ও তার রঙিন যাত্রাপথ সম্পর্কে অবগত। আগামী মরশুমে আইএসএলে নতুন পথ চলা শুরু হবে ইস্টবেঙ্গলের। তার জন্য আগাম অভিনন্দন রইল।’
প্রসঙ্গত, মোহনবাগান আইএসএলের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে স্পনসর সমস্যা থাকায় ইস্টবেঙ্গলের কাছে আইএসএল খেলা অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঠিক তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাহায্যে অবশেষে শ্রী সিমেন্ট দলের সঙ্গে চুক্তি করে। ফলে সম্প্রতি আইএসএল খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে মশাল বাহিনী। আগামী মরশুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল মোহনবাগান ও এটিকের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি হওয়া প্রায় নিশ্চিত। করোনা পরিস্থিতিতে এমন খবর লাল-হলুদ শিবিরে নিঃসন্দেহে খুশির হাওয়া নিয়ে এসেছে। এমনকি খুশি হয়েছে অগণিত সর্মথকরা।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ব্রিটিশ দলের সঙ্গে একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণেই সেই ম্যাচ এখনও পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। ভবিষ্যতে কি তাও এই ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? এ প্রসঙ্গে ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে আমাদেরকে যে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়েছে, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম একটা ইতিহাস সৃষ্টি করা দলের সঙ্গে আমাদের ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে তা হয়ে ওঠেনি। আগামী দিনে এটা করা সম্ভব কিনা তা এখন থেকেই বলা কঠিন। তবে আমরা দলের সঙ্গে কথা বলবো। সবকিছু স্বাভাবিক হোক। তারপর এই ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হওয়া নিয়ে একটা বৈঠক হবে। সকলের কথা শুনে সেই মতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তবে আপাতত ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হবে কিনা সেই প্রসঙ্গে তুলে রেখে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের খেলা এই প্রসঙ্গ নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে। বাংলার ময়দানে