Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

মোটরবাইক কিনলেই ফ্রি ২টি হেলমেট, কেন্দ্রের নয়া নিয়মে চমক

Updated :  Sunday, June 29, 2025 10:35 AM

নতুন বাইক কিনলে এবার একটাই হেলমেট নয়, মিলবে দু’টি! আর ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে চালু হবে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা — বাইকে বাধ্যতামূলক অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (ABS)। কেন্দ্রের সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের তরফে এমনই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, যার লক্ষ্য দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা।

নতুন কী কী প্রস্তাব এসেছে?

২৩ জুন, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত খসড়া সংশোধনী অনুযায়ী, সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকল রুলস ১৯৮৯-এ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই খসড়া অনুযায়ী, যে কোনও নতুন টু-হুইলার বিক্রির সময় নির্মাতাদের দুটি হেলমেট দিতে হবে, যার মধ্যে একটি চালকের জন্য, অন্যটি আরোহীর জন্য নির্ধারিত। দুটি হেলমেটই অবশ্যই BIS (Bureau of Indian Standards) দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

নিয়মটি গেজেটে প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে কার্যকর হবে। এর ফলে হেলমেটবিহীন যাত্রার অভ্যাস বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বাধ্যতামূলক ABS: দুর্ঘটনা রুখতেই পদক্ষেপ

আরও একটি বড় পরিবর্তন হচ্ছে ABS (Anti-lock Braking System) সংক্রান্ত। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে L2 ক্যাটেগরির সমস্ত নতুন মোটরবাইক এবং স্কুটারে এই প্রযুক্তি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এই শ্রেণির টু-হুইলারের ইঞ্জিন ক্ষমতা ৫০ সিসির বেশি অথবা গতি ঘণ্টায় ৫০ কিমি-র বেশি হয়।

ABS-এর অন্তর্ভুক্তি সড়কে বাইকের ব্রেকিং নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে, যা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটাই কমাবে। এই প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক মান IS 14664:2010 অনুসরণ করবে।

কারা থাকবেন এই নিয়মের বাইরে?

মোটর ভেহিকল অ্যাক্টের ১২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় বা চিকিৎসাজনিত ক্ষেত্রে এই নিয়মের থেকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই নিয়ম সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

আপনার মতামত দিন

সরকার এই খসড়া নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে জনসাধারণের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করছে। ই-মেলের মাধ্যমে এই প্রতিক্রিয়া পাঠানো যাবে। এরপর প্রাপ্ত মতামত বিবেচনা করেই চূড়ান্ত নিয়ম তৈরি হবে।

এই প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি ভারতীয় সড়ক নিরাপত্তায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে। হেলমেটের বাধ্যতামূলক ব্যবহার ও ABS প্রযুক্তির সংযোজন দুটিই দেশের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান কমাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে। এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ কতটা সহমত হন, তা এখন দেখার।