করোনা সংক্রমণ গত বছর থেকে সারা বিশ্বের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। চলতি বছরের শুরুতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা কমলেও সম্প্রতি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিন দৈনিক সংক্রমণ ১ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সংক্রমনের গগনচুম্বী গ্রাফ থেকে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার সপ্তাহান্তে লকডাউন এবং প্রতিদিন নাইট কার্ফু জারি করে দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি একই পথে হেঁটেছে উত্তরপ্রদেশ ছত্রিশগড় সহ একাধিক রাজ্য। তারাও শহরে করোনা বিধি মানার জন্য কঠোর নিয়ম জারি করেছে।
আসলে এই ঘটনা আকস্মিক নয়। মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে মহারাষ্ট্রে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এমনকি দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে কয়েকদিনে। তাই মহারাষ্ট্র সরকার সপ্তাহান্তে লকডাউন এবং দৈনন্দিন নাইট কার্ফু করার ব্যবস্থা করেছে। এই করোনার নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে সোমবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকবে। এছাড়াও অন্যান্য দিন সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮ টা অব্দি সর্বোচ্চ পাঁচজন একসাথে রাস্তায় বেরোতে পারবে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাতে না লংঘন করা হয় তাই ফের বার, রেস্তোরাঁ, মল ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কটা সপ্তাহ ধরে দোকান বাজার নির্ধারিত সময় খোলা থাকবে। সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য করা নিয়ম আনা হয়েছে। এমনকি ৩০ এপ্রিল বিখ্যাত মুম্বাই বিচ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
মহারাষ্ট্রের পথে বের হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। তারা রাজ্যের সমস্ত শহরে শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত লকডাউন ডেকেছে। মধ্যপ্রদেশ ছাড়া ছত্রিশগড়ে করাকরি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রায়পুর ইতিমধ্যেই কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অযোধ্যা শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শহরের বিভিন্ন সীমান্ত সিল করা হবে। আগামী ১০ দিন লকডাউন করা হয়েছে রায়পুরে। সেখানে বন্ধ থাকবে ব্যাংকসহ অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি অফিস। এছাড়াও ব্যাঙ্গালুরুতে আগামী ৯ এপ্রিল থেকে লকডাউন হবে।